পাইকগাছায় হাতুড়িপেটায় গুরুতর আহত রেনু বেগম (৫৫) মারা গেছেন। একমাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি তাৎক্ষণিক তার উপর হামলাকারী শুকুর আলীর বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করেছে।
এরআগে গত ১০ আগষ্ট বিকেলে তুচ্ছ ঘটনায় উপজেলার চক্কাওয়ালী গ্রামের শুকুর আলী গাইন স্থানীয় আইয়ুব আলী সরদারের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী রেনু বেগমের সাথে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে শুকুরের কাছে থাকা হাতুড়ি দিয়ে সজোরে রেনু বেগমের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেঁটে গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিক আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার আরো অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার স্বজনরা তাকে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে টানা একমাস চিকিৎসা চলাকালীন শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মৃত্যু হয় তার।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি শুকুর আলী গাইনের বাড়িতে হামলা করেছে।
নিহতের একমাত্র ছেলে সেনা সদস্য জাহিদ হোসেন বাবু জানান, তার মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এর বিচার চান। এদিকে হাতুড়িপেটার ঘটনায় এক মাস আগে রেনু বেগমের দেবর সবুর সরদার ওরফে সবুজ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলার একমাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তানজির হোসেন জানান, আসামী হযরত আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়েছে।