জেলার পাইকগাছার শহীদ গফুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্পত্তির অবৈধ দখলমুক্ত করতে গত দেড় বছরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার দু’দফার নির্দেশ কার্যকর হয়নি।
অভিযোগে জানাযায়, পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শহীদ গফুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ০.৩৪০৮ একর জমির মধ্যে ০.৩৬৮ একর সম্পত্তি গত ২৪ বছর ধরে অবৈধ জবরদখলে রেখেছে স্থানীয় চলন্তিকা সংঘ।
ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে গত বছরের ৩১ জানুয়ারী নোটিশ দেয়া হয়। তবে এতে চলন্তিকা সংঘের পক্ষে কোন গুরুত্ব না দেওয়ায় ২১ মার্চ ২১’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত
অভিযোগ করেন, কমিটির পক্ষে সভাপতি জগদীশ চন্দ্র রায়।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে তিনি ১৫ দিনের মধ্যে স্কুলের সরকারী সম্পত্তির অবৈধ দখলমুক্ত করতে নোটিশ প্রদানপূর্বক আদেশ দেন। তবে এর দীর্ঘ দেড় বছরেও ইউএনও’র ঐ আদেশ কার্যকর না হওয়ায় বিদ্যয়র প্রধান শিক্ষক সেলিনা পারভীন ফের ইউএনও’র দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে তিনিও একইরুপ আদেশ প্রদান করেন। তবে দু:খজনক হলেও সত্য যে, ইউএনও’র দ্বিতীয় দফার আদেশও কার্যকর হয়নি।
এ প্রসঙ্গে চলন্তিকা সংঘের সাধারণ সম্পাদক জিএম মিজানুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির উপর আজীবণ ক্লাব (সংঘ) পরিচালনার শর্তে চলন্তিকা সংঘের নামীয় সম্পুর্ন জমি স্কুলের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। শর্ত মোতাবেক সেখানে সংঘের নিজস্ব কার্যালয় নির্মাণ করা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু বলেন, শহীদ এমএ গফুর সাহেব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর, সাবেক এমএনএ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ভাষা সৈনিক। আর তার নামীয় বিদ্যাপীঠের সরকারী সম্পত্তি দখলমুক্ত
করে সেখানে শহীদ গফুর স্মৃতি পাঠাগার স্থাপনের পরিকলপনা রয়েছে।