খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনিতে ছিন্নমূল পরিবারের রেশমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পারিবারিক সূত্র বলছে রবিবার (১৬ জানুয়ারী) সকালে খেজুরের রস খাওয়ার পর থেকে তার পেটে ব্যাথা শুরু হয়। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে দুপুর আনুমানিক ২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ কাশিমনগরস্থ তার মায়ের সরকারী খুপড়ি ঘরের সামনে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
জানাযায়, উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের ছিন্নমূল মৃত কওছার আলী গাজীর মেয়ে রেশমা (২২) এর গত বছর তালার রায়পুর গ্রামের মৃত আলম গাজীর ছেলে রেজাউল গাজীর সাথে বিয়ে হয়। এর আগে রেশমার আরো একবার বিয়ে হয়েছিল। সে পক্ষের তার ৫ বছরের মুক্তা নামের এক মেয়ে রয়েছে। রেজাউলেরও আগে আরো এক বিয়ে রয়েছে। সেপক্ষের তার ৩ ছেলে রয়েছে। যাদের একজন বিবাহিত। পরিবারের অমতে রেজাউল স্ত্রী-সন্তান রেখে বিয়ে করায় প্রথম থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলে আসছে। সে কারণে রেজাউল রেশমাকে নিয়ে প্রথম থেকেই কাশিমনগর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় নিয়ে থাকতো।
সূত্র জানায়, ঘটনার আগের দিন ১৫ জানুয়ারী রেশমা ও তার শিশু মেয়েকে নিয়ে তার স্বামী রেজাউল তালার কপোতাক্ষ পাড়ের কানাইদিয়ায় তার অপর বোন সালমাদের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। সকালে তার ভগ্নিপতি খেজুরের রস নিয়ে আসলে অন্যান্যদের সাথে রেশমাও তা খায়। তবে রস খাওয়ার পর অন্য কারো কোন সমস্যা না হলেও তার পেটে ব্যাথা শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ব্যাথা বাড়তে থাকলে তার স্বামী তাকে সেখানে ফেলে বাড়িতে চলে যায়। এরপর তার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে ভগ্নিপতি মতলেব মোড়ল তাকে চিকিৎসার জন্য নদী পার হয়ে কপিলমুনি হাসপাতালে নেয়। এসময় হাসপাতালে কোন ডাক্তার নাথাকায় অন্যত্র নেয়ার প্রস্তুতি নিলে হাসপাতালের সামনেই তার মৃত্যু হয়।
মৃত রেশমার বোন সালমা জানায়, রাতে রেশমা ভাত খেলেও তার স্বামী রেজাউল না খেয়ে একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। তবে সকালে রেজাউল ভাত খায়। তবে রেশমা খেজুরের রস খেয়েছে কিনা তা সে দেখেনি।
পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, লাশের ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই