কপোতাক্ষ পাড়ের সরকারি খাস জমি জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে একেরপর এক ষড়যন্ত্র করছেন চিহিৃত একজন প্রতারক। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে সে। সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনি অভিযোগ করলেন পাইকগাছার মেসার্স সাবিনা ব্রিকস্’র স্বত্তাধিকারী মুনতাসীর মামুন সিরাজ। তার দাবি, গত ২৪ আগস্ট একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেন আশাশুনি উপজেলার বড়দল আলীম মাদ্রাসার শিক্ষক পরিচয়দানকারী ওই প্রতারক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সামিনা ব্রিকস সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে, সে আলসে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকও নন। প্রকৃতপক্ষে, সাবিনা ব্রিকস্ ইটভাটার ধারেকাছে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। নিয়মিত সরকারি রাজস্ব দিয়েই বৈধ অনুমোদন নিয়েই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রে জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সরেজমিন তদন্ত করেছেন। বাণিজ্যিকভিত্তিতে উৎপাদন শুরু না হলেও ইট ভাটাটিতে অবহেলিত এলাকার অন্তত দুইশ’ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ইট ভাটার পক্ষ থেকে স্থানীয়দের মাঝে সাধ্যমতো ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ইট ভাটাটি অত্যাধুনিক জিকজাক পদ্ধতিতে নির্মিত হয়েছে ১২০ ফুট সুউচ্চ চিমনি। ফলে এলাকার পরিবেশ দুষণের সম্ভাবনা নেই দাবি করে তিনি আরও বলেন, কপোতাক্ষ পাড়ের সরকারি খাস জমি জবর দখলে ব্যর্থ হয়েই ওই প্রতারক ইট ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে (যার নং-৪১৯, ০৯-৪-২০২০ ও ২৬১, ০৫-৪-২০২০ইং)। ভবিষ্যতে কোন অপপ্রচার করলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন