খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৭
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ

‘পরকীয়ার জেরে বন্ধু আলমগীরকে হত্যা করে ইস্রাফিল’

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় পরকীয়ার কারনেই সদর উপজেলার বকচরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের দিনমজুর আলমগীর হোসেনকে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে নিহত আলমগীরের বন্ধু গ্রেপ্তারকৃত ইস্রাফিল পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

শনিবার (৮ মে) সাতক্ষীরা সদর থানায় অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান এ তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ৭ মে শুক্রবার ভোরে পুলিশ সাতক্ষীরা শহরের বচকরা পশ্চিমপাড়ার একটি পুকুর থেকে একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই এলাকার জাকির হোসেন ও ইস্রাফিল নামের দুই জনকে আটক করা হয়। ঘটনার সাথে জকিরের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়ায়। আটক ইস্রাফিল পুলিশে কাছে হত্যার সাথে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

ইস্রাফিলের বরাত দিলে পুলিশ জানায়, নিহত আলমগীর ও ইস্রাফিল দুইজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। একই এলাকার আব্দুল জলিলের স্ত্রীর সাথে আলমগীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। জলিলের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আলমগীর বন্ধু ইস্রাফিলের সাথে পরামর্শ করে। গত ৫ মে বিকালে তাকে (জলিলের স্ত্রীকে) ইস্রাফিলের এক আত্মীয়র বাসায় রেখে আসে। পরের দিনে তাকে নিয়ে ঢাকা বা অন্য কোথায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলমগীরের কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তারা যেতে পারেনি।

হত্যাকান্ডের পূর্ব মুহুর্তে ঘটনাস্থলে বসে আলমগীর ও ইস্রাফিলের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আলমগীর বন্ধু ইস্রাফিলকে বলে জলিলের স্ত্রীকে “আমি নিতে পারছি না, তুই নিবি।” এতে উত্তেজিত হয়ে ইস্রাফিল তার হাতে থাকা বিদ্যুতের তার দিয়ে আলমগীরের গলায় পেচিয়ে তাকে হত্যা করে। ইস্রাফিলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহত আলমগীরের ব্যবহৃত টর্চ লাইট উদ্ধার হয় এবং মোবাইলটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে নিহতের মা সুফিয়া খাতুন ওরফে হাজেরা বাদী হয়ে আব্দুস সাত্তারের ছেলে আহসান, ওয়াজেদ আলীর ছেলে বিল্লাল, নজির উদ্দীনের ছেলে জলিল, ও হাফিজুর রহমানের ছেলে ইস্রাফিলকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামীদের মধ্যে ইস্রাফিল আটক রয়েছে। বাকীদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে। তবে হত্যাকান্ডের সাথে জলিলের স্ত্রীসহ আর কেউ জড়িত আছে কিনা পরবর্তী তদন্তে তা জানা যাবে। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই ওহিদুল ইসলামকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সদর সার্কেল শামসুজ্জামান সামস, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন ও সদর থানার ওসি (তদন্ত) বুরহান উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!