খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ইসি গঠনে সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি পালিয়েছে
  সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের তিন সহযোগী গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
  যাত্রাবাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে দুই পুলিশ আহত

পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় পৌঁছে উচ্ছসিত সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ঢাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে উচ্ছ্বাসের কথা জানান যাত্রীরা।

এর আগে, বুধবার (১ নভেম্বর) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনা রেল স্টেশন ছেড়ে আসে। খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, খুলনা থেকে ২২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ট্রেনটি। যাত্রাপথে অন্যান্য স্টেশন থেকে আরও যাত্রী উঠেছিল।

খুলনা রেল স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি ১৩টি বগি নিয়ে ঢাকায় গেছে। সুন্দরবন ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা ৮৬০টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি বার্থ ৪৮টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি। আর ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ৯০৮টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি সিট ৯৬টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি।

খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সুন্দরবন আন্তঃনগর ট্রেনের ভাড়া শোভন চেয়ার শ্রেণি ৫০০ টাকা, প্রথম সিট শ্রেণির ভাড়া ৬৬৫ টাকা, প্রথম বার্থ শ্রেণির ভাড়া ৯৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ভাড়া ৮৩০ টাকা, এসি সিট শ্রেণির ভাড়া ৯৯৫ টাকা ও এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ১ হাজার ৪৯৫ টাকা। যমুনা সেতু দিয়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের শোভন চেয়ার শ্রেণিতে ভাড়া ছিল ৫০৫ টাকা।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, আগের রুটের তুলনায় বর্তমান রুটে ভাড়া খুব একটা বাড়েনি বা কমেনি।

এদিকে যমুনা সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটের ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় খুশী খুলনার মানুষ। তবে এখনও অনেক পথ ঘুরে ঢাকায় যেতে হবে। এছাড়া দূরত্ব কমলেও ভাড়া না কমানোর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারে কেউই। সরাসরি ট্রেন চালু এবং আগের তুলনায় ভাড়া কমানোর দাবি খুলনাবাসীর।

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, বাসের চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত আরামদায়ক হওয়ায় অনেকে ট্রেনে খুলনা থেকে ঢাকায় যেতে চায়। কিন্তু পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে যেতেও বাসের চেয়ে বেশি সময় লাগবে। সে কারণে খুলনা-ঢাকা রুটে সরাসরি রেল লাইন স্থাপন এখন সময়ের দাবি। এছাড়া দূরত্ব কমে যাওয়ায় ভাড়া কমানো উচিৎ।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, যমুনা সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু দিয়ে সুন্দরবন ট্রেন চালু করায় আমরা খুশী। কিন্তু তারপরও ট্রেনে অনেক পথ ঘুরে তারপর ঢাকায় যেতে হবে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি, খুলনা-ঢাকা রুটে সরাসরি ট্রেন চালু করা, যাতে অযথা বাড়তি পথ ঘুরতে না হয়। তিনি বলেন, যমুনা সেতু হয়ে ঢাকায় যেতে সময় লাগতো ৯ ঘণ্টা। পদ্মা সেতু দিয়ে লাগছে ৭ ঘণ্টার মতো। অথচ পদ্মা সেতু দিয়ে বাসে যেতে লাগে মাত্র ৪ ঘণ্টা। সরাসরি রেল লাইন স্থাপন করা গেলে তখন পদ্মা রেল সেতুর সুফল পুরোপুরি খুলনাবাসী পাবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন রুটে দূরত্ব অনেক কমেছে। সে কারণে আগের তুলনায় ভাড়া আরও কমানো উচিৎ।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!