বুধবার দিনের অর্ধেক সময় খুলনা নগরীতে আনন্দ উৎসব। দিনের শুরুতে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। পরে মেঘলা আকাশ আর রোদের লুকোচুরি খেলা। হাদিসপার্ক এলাকায় সাজ সাজ রব। পদ্মা সেতু উদ্বোধন স্মরণীয় করতে নগরীতে আনন্দের মোটর শোভাযাত্র। এর আয়োজক বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। এ সেতু তাদের আন্দেলনের ফসল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের প্রতিছবি।
হাদিসপার্কের শহীদ মিনার জুড়ে উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মঞ্চ। দর্শক ধরে রাখতে এবং অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করতে রূপান্তরের পট গানের আয়োজন। আয়োজকদের অনুসারীরা হাল্কা ব্লু রংয়ের গেঞ্জি, জাতীয় পতাকা, পদ্মা সেতুর প্রতিচ্ছবির পতাকা, বেলুন আর কবুতর হাতে নিয়ে উদ্বোধনী পর্বের অপেক্ষায়। সুন্দর মুহুর্ত বেলা সাড়ে ১১ টা। মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক দুই ডজন বেলুন নীল আকাশে পানে উড়িয়ে আজকের এ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। একাধিক ক্যামেরা ও অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন এ মুহুর্তকে ধারণ করে ইথারে ইথারে বিশ্ববাসীর কাছে পৌছে দেন।
মেয়র উদ্বোধনী পর্বে বলেন, পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের স্মরণীয় প্রতীক। ২১ জেলার মানুষের অর্থনীতির সিংহদার। উন্নয়ন কমিটির আজকের মোটর শোভায়াত্রা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। শোভাযাত্রা ফুলবাড়ি গেট অভিমুখে রওনা হয়।
এতে অংশ নেন, এমডিএ বাবুল রানা, শেখ আশরাফুজ্জামান, শেখ মোহাম্মদ আলী, আনিসুর রহমান বিশ্বাস, স্বপন গুহ, মফিজুল ইসলাম টুটুল, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, নিজাম উর রহমান লালু, হাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান বাবু, রসু আক্তার, অধ্যাপক আলমগীর কবির, অধ্যাপক শেখ আবুল বাসার, শাহীন জামান পন, ইকবাল হোসেন বিপ্লব , শেখ মোশারেফ হোসেন, শ্যামল সিংহ রায়, মিনা আজিজুর রহমান, মকবুল হোসেন মিন্টু, মোঃ আবু জাফর, আলী আকবর টিপু, জেড এ মাহমুদ ডন, ডা, মেহেদী নেওয়াজ, শেখ দিদারুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, মিনা মিজানুর রহমান, মামুনারা জাকিয়া খুকু মনি, ফারুক হাসান হিটলু প্রমুখ।