মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার মানহানী মামলায় নড়াইল আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল আমলী আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মানহানীকর বক্তব্য দেওয়ার অপর মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে নড়াইল আমলী আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ১৭ ফেব্রুয়ারী নড়াইল আমলী আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এই রায় প্রদান করেন।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আশিক বিল্লাহ (শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের, সাধারন সম্পাদক) ২৯/১২/২০১৫ তারিখে এই মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২১/১২/২০১৫ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন ,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছে বলা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কতজন শহীদ হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে, এছাড়া তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে, তাকে ইঙ্গিত করে আরো বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি, পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনায় বাদী নড়াইল আমলি আদালতে এক কোটি টাকার মানহানী মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মানহানীকর বক্তব্য দেওয়ার অপর মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে নড়াইল আমলী আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। গত ২৫.১২.২০১৫ সালে তিনি ঢাকায় তার দলের এক অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা নির্বোধের মত মারা গেলো, আর আমাদের মত নির্বোধেরা প্রতিদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসাবে ফুল দেয়, না গেলে পাপ হয়সহ বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
নড়াইলের অতিরিক্ত পিপি সঞ্জিব কুমার বসু বলেন, ২১/১২/২০১৫ সালে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন ,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছে বলা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কতজন শহীদ হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে, এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে, তাকে ইঙ্গিত করে আরো বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি, পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনায় বাদী এক কোটি টাকার মানহানী মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/কেএম