নড়াইল সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামে শিশু আরাফাত হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে দু’জনকে অভিযুক্ত করে নড়াইলের আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের এসআই সেন্হাশীষ দাশ।
অভিযুক্তরা হলো, বোড়ামারা গ্রামের তৌহিদ মোল্লার ছেলে নাবিল হাসান ও সাহিদুর রহমানের ছেলে মিলন হোসেন ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ মার্চ সকাল ৯টার দিকে বোড়ামারা গ্রামের ওবাইদুর রহমান শিকদারের ছেলে আরাফাত আলী (১১) বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে তার পিতা ওবাইদুর রহমান শিকদার নড়াইল সদর থানায় একটি জিডি করেন। পরদিন ১৩ মার্চ ওবাইদুর রহমান শিকদারের মোবাইলে “তুই খুব বড় একটা জিনিস হারাতে চলেছিস” লিখে ম্যাসেজ পাঠানো হয়। বিষয়টি তিনি নড়াইল থানার পুলিশ ও পিবিআই যশোরকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে আরাফাতকে মুক্তির জন্য ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আরও একটি ম্যাসেজ পাঠানো হয়। ম্যাসেজের মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মিলন হোসেন ও নাবিল হাসানকে আটক করে পিবিআই। এরপর তারা আরাফাত আলীকে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে। তারা পুলিশকে জানায়, আরাফাত আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলো। এরপর একই গ্রামের মাহাবুর রহমানের বাঁশ বাগানে নিয়ে আরাফাত আলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার লাশ বাঁশের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ সকালে মাহাবুর রহমানের বাঁশ বাগান থেকে নিহত শিশু আরাফাত আলীর লাশ উদ্ধার করে পিবিআই।
খুলনা গেজেট/কেডি