নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের পচিশা গ্রামের একটি মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে দুবৃর্ত্তরা। এতে আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঘের মালিক মোঃ ইমরান হোসেন।
ঘের মালিক ইমরান হোসেন জানান, প্রতিনিয়ত আমার ঘের থেকে মাছ চুরি হয়। কতিপয় কিছু ব্যাক্তি প্রভাব বিস্তার করে আমার ঘের থেকে মাছ নিয়ে যায়। সম্প্রতি তাদের মাছ নিতে নিষেধ করায় আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার বাড়ি শেখ হাটি গ্রামে। মৎস অফিসের পরামর্শ ক্রমে মাছ চাষে সফলতা অর্জন ও অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এই মাছ চাষ শুরু করেছি।
লোন ও ধার দেনা হয়ে মাছ চাষ করছি। ভেবেছিলাম মাছ চাষ করে এবার ভ্যাগের বদল হবে। কিন্তু সেই আশা আর পূর্ণ হল না।
২৭ বিঘা জমির উপর এই ঘেরে রুই,কাতলা, মৃগেল, সিলভার পোনাসহ সাদা মাছের চাষ করেছি৷ ৩০ জানুয়ারী (সোমবার) সকালে মাছের ঘেরে এসে দেখি মাছ মরে ভেসে আছে। সাদা সাদা হয়ে আছে সারা ঘের। আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, ২৭ বিঘা ঘেরে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পচিশা গ্রামের সাহিজুল শেখ বলেন, সকালে মাছের ঘের দেখতে এসে দেখি মাছ মরে ভেসে উঠেছে। স্থানীয়দের ডেকে দেখিয়েছি। মাছের ঘেরে যারা এই বিষ প্রয়োগ করেছে তাদের সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি।
অপর ঘের মালিক শিমুল হোসেন বলেন, এভাবে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করা ঠিক হয়নি। ঘের মালিক অনেক ভাল মানুষ। মাছ মারলে স্থানীয়দের ডেকে মাছ দেয়। তার মত এক জন মাছ চাষীর এমন ক্ষতি যে করেছে তার সঠিক বিচার হোক।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ওসি বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখনও লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড