নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার উথলী গ্রামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রাত পৌনে ২টার দিকে তাকে চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ভূক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর ফুফু বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উথলী গ্রামের পূর্বপরিচিতি নিশান শেখ (১৬) তার ভাতিজিকে মোবাইল ফোনে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে যায়। কথাবার্তার এক পর্যায়ে নিশানসহ তার দুই সহযোগী রুমাল দিয়ে স্কুলছাত্রীর মুখ বেঁধে বাড়ির পাশে বিলের মধ্যে নিয়ে গণধর্ষণ করে। ঘটনাস্থলে নিশানের আরো কয়েকজন বন্ধু উপস্থিত ছিল বলে তিনি জানান। এক পর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর জ্ঞান ফিরলে ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রী বাড়িতে ফিরে আসে। এমতাবস্থায় পরিবারের সদস্যরা রাত পৌনে ২টার দিকে অসুস্থ ওই কিশোরীকে নড়াইল সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মশিউর রহমান বাবু বলেন, গতকাল মধ্য রাতে কালিয়া থেকে গ্যাং রেফের অভিযোগ নিয়ে একটি মেয়েকে ইমারজেন্সি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেন এবং নার্সকে দিয়ে আলামত সংগ্রহের ব্যবস্থা করেন। আমরা থানাকে অবহিত করেছি তার পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে, সব পরীক্ষার পর চুড়ান্ত মতামত প্রদান করা যাবে।
কালিয়া থানার ওসি শেখ কনি মিয়া জানান, এ ঘটনায় ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা ঘটনার রাতেই বাদি হয়ে পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাতনামা দুইজন আসামি রয়েছে। এর মধ্যে নিশান শেখ, বাপ্পী সিকদার ও নাঈম শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/এনএম