অতিবৃষ্টি আর ন্যায্যমূল্যের অভাবে চরম বিপাকে পড়েছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খিরাই চাষিরা। ভালো ফলন হলেও বাজারে দাম নেই, তার ওপর দফায় দফায় বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি বেড়েছে। ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশ কৃষকরা এখন সরকারের সহযোগিতা এবং ন্যায্য বাজার ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে আছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, তালা উপজেলার ভায়ড়া গ্রামের খিরাই চাষি মোস্তফা বিশ্বাস ৩০ হাজার টাকা হাড়ি (লিজ) দিয়ে ২৫ কাটা জমিতে জাপানি ‘সেভেন স্টার’ জাতের বীজ ব্যবহার করে খিরাই চাষ করেছেন। প্রায় এক মাস ধরে গাছে খিরাই ধরছে। কিন্তু এ পর্যন্ত তিনি মাত্র ৩ হাজার টাকার খিরাই বিক্রি করতে পেরেছেন। অথচ সার, বীজ, সেচ ও অন্যান্য বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। ইতিমধ্যে খিরাই গাছও ধীরে ধীরে মরে যেতে শুরু করেছে।
মোস্তফা বিশ্বাস বলেন, ফলন ভালো হলেও অতিবৃষ্টিতে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার ওপর বাজারে দাম খুব কম। প্রায় এক লাখ টাকা খরচের পরেও লাভের কোনো আশা দেখছি না।
তিনি আরও জানান, সঠিক সার ব্যবহার, উন্নত জাতের বীজ ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারদর আশানুরূপ না হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি নেই।
জানা গেছে, তালা উপজেলার অনেক কৃষকই একই সমস্যার মুখে পড়েছেন। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ও বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে কৃষকরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন।
চাষিদের মতে, উপজেলা কৃষি দপ্তর মাঠপর্যায়ে নিয়মিত তদারকি ও পরামর্শ প্রদান করলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, আমরা কৃষকদের পাশে আছি। মাঠপর্যায়ে কাজ করছি, পরামর্শ দিচ্ছি। আবহাওয়ার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, তবে বাজার পরিস্থিতিও নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এএজে