দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আকরাম হোসেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্রের অনুসারীরা সাধারণ ভোটারদের নানা ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন শেখ আকরাম হোসেন।
লিখিত বক্তব্য তিনি অভিযোগ করে বলেন, নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ভোট না দিলে তার অনুসারী চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড ও সরকারি সুবিধাভোগীদের কার্ড বাতিলের হুমকি দিচ্ছেন। ৪০ দিনের কর্ম সৃজন প্রকল্পের শ্রমিক, রাস্তার নগর কুলি, গ্রাম পুলিশ, গ্রাম্য স্বাস্থ্যকর্মী, সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি সম্প্রদায়ের শিক্ষকবৃন্দসহ সরকারি মহিলা বিষয়ক কর্মীসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধাভোগীদের উপরে চাপ প্রয়োগ করে তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করাচ্ছেন। যা সরকারি নির্বাচনে আচরণবিধির সুনির্দিষ্ট ভাবে লঙ্ঘন।
এছাড়াও তিনি নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটের নামে সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উত্থাপন করেন। নৌকার প্রার্থীকে ভোট না দিলে নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের মানুষ ডুমুরিয়া-ফুলতলায় টিকতে পারবে না বলে ভীতি ছড়াচ্ছেন।
২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি একই রকমের প্রোপাগান্ডা চালিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১২ টি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হারিয়ে দিয়েছিলেন। যে সকল ভোটার তাকে ভোট দেবেন না বলে তিনি মনে করছেন, তাদের নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, ১৫ বছর ধরে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ সংসদ সদস্য থাকায় অফিসারদের সাথে তার রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এসব কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি তার মিশন বাস্তবায়নে বেশ কয়েকজন অফিসারকে পূর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিয়ম মাফিক ২/৩ বার অন্যত্র বদলি হয়ে গেলেও পূনরায় পুনরায় ডিও লেটার দিয়ে তাদেরকে ডুমুরিয়া উপজেলায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোটাররা আশঙ্কা করছেন এসব কর্মকর্তা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব থাকলে কোনভাবেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না বরং তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার ঈগল প্রতীকের ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল, সদস্য সচিব সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা সরোয়ার, আটরা গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মনিরুল ইসলাম, ডাঃ এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ, দামোদর ইউপি চেয়ারম্যান শিপলু ভূঁইয়া, ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর শেখ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ