খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩১ | ১৭ জুন, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত ঈদের ছুটির পর : দুদক আইনজীবী
  সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলেও কথা বলছে না সরকার : ফখরুল

নেই পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বৃষ্টির পানিবন্দি ৩ শতাধিক পরিবার

শেখ বদর উদ্দিন

পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় আষাঢ়ের বৃষ্টির পানিতে আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আফিলগেট ফকিরপাড়া, খাঁ পাড়াসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় মাসব্যাপী পানিবন্দী হয়ে মানবেতার জীবনযাপন করছেন ৩ শতাধিক পরিবার।

এদিকে, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদনও করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, পানিবদ্ধতায় আফিলগেটের ফকিরপাড়া, খাঁপাড়া এলাকার ৩ শতাধিক বাড়ির চারপাশ ও উঠানে পানি জমে আছে। পানি জমে থাকায় রান্নাসহ চলাচলে চরম বিপদে রয়েছে পনিবন্দী পরিবারগুলো। ফকিরপাড়া জামে মসজিদের মুসাল্লি কামরুল ইসলাম বলেন মসজিদটি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, যার কারনে মুসাল্লিরা নামাজ পড়তে আসলেও ভোগান্তিতে পড়ছে।

ফকিরপাড়ার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ৩৬ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক ও মানবকল্যান সংগঠন খানজাহান আলী থানার সভাপতি শেখ কিবরিয়া জানান, জন্মের পর থেকেই তারা দেখে আসছেন এই এলাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন এর কোন ব্যবস্থা নেয়। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টির পানি জমে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমারা স্থানিয় ইউপি সদস্য কে একাধিকবার বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তিনি এসে দেখে গেলেও এর কোন সমাধান হয়নি।

স্থানিয় বাসিন্দা লিয়া ফকির বলেন, নিষ্কাশনের পথ না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেও পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানি বাড়ির উঠানে উঠে আসে। আমারা দীর্ঘ একমাস ধরে এই অবস্থায় জীবন জাপন করছি। অপর বাসিন্দা কাশেম খান বলেন ময়লা ও নোংরা পানিতে আমাদের হাতে পায়ে ঘাসহ ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব বিপদে আছি।

আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের নিয়ে আমরা পানি নিষ্কাশনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বিভিন্ন কারনে সেটা সম্ভব হয়নি , আমরা আবার এলাকাবাসিকে সাথে নিয়ে বসবো, মুলত পানি নিস্কাশনে স্থায়িভাবে সমাধান দরকার , ইতিমধ্যে আটরা বিহারী কলোনি দিয়ে পানি নিস্কাশনের কাজ শুরু করা হয়েছে ওই এলাকার সকল পানি ভৈরব নদিতে গিয়ে নামবে, ফকিরপাড়া এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য কোন ফান্ড এ মুহুর্তে বরাদ্দ নেয়, তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা, সাধারন মানুষ এর ভোগান্তির ব্যাপারে আমি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর সাথে বিষয়টি ভালোভাবে জেনে অতিদ্রত পানি নিস্কাশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!