বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে দাবিতে অবরোধ করলেও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) নির্বাচনে অংশ নেবে। সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে। নির্বাচন বর্জন করলে জাপা ভেঙে যেতে পারে। দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যে হাই কমিশনার সারাহ কুককে এ কথা বলেছেন।
বুধবার জাপা চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মশরুর মওলার গুলশানের বাসভবনে নৈশভোজে অংশ নেন বৃটিশ হাই কমিশনার। এতে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, ঢাকাস্থ যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সাইমন পেইজ।
বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে।
মশরুর মওলা জানিয়েছেন, সারাহ কুক জানতে চেয়েছিলেন জাপা আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না? জবাবে জি এম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচন নিয়ে দলের নেতাদের নিজস্ব প্রস্তুতি ও ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের ভাঙন দেখা দেবে। তাই জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে।
সারাহ কুকের বরাতে জাপার চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য চায় বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হোক। জাপা দুই শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, তাঁরাও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক চান।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিএনপিবিহীন নির্বাচন বর্জন করেছিলেন জাপার তৎকালীন চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলের একাংশ নির্বাচনে অংশ নেয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় ৩৪ আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আভির্ভূত হয়। জি এম কাদের বর্জন করলেও রওশনপন্থিরা এবারও নির্বাচনে অংশ নেবে। ইতিমধ্যে একাধিকবার বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের সমর্থন এবং তাতে অংশগ্রহণের কথা বলেছেন।
খুলনা গেজেট/এমএম