খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত পৌনে ১১ টায় তাকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
রহিমা খাতুনের উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের উপ কমিশনার উত্তর মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে তিনি ফরিদপুর বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে সেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে এডিসি দৌলতপুরের নেতৃত্বে থানার ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ অভিযানে যান। সেখানে গিয়ে তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, রাহিমা খাতুন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের জনৈক কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে ছিলেন। কুদ্দুস মোল্লা সোনালী জুট মিলে চাকরীরত অবস্থায় রহিমা খাতুনের মহেশ্বরপাশার বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। তিনি বর্তমানে অসুস্থ। রহিমা খাতুনকে নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তিনি। পরে মিডিয়ার মাধ্যমে সব কিছু জানানো হবে।
ফরিদপুর বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আ: ওহাব খুলনা গেজেটকে জানান, রাতে খুলনা থেকে একদল পুলিশ তাদের থানায় এসে বলেন তদন্তের জন্য তারা এখানে এসেছেন। ছায়া হিসেবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশকে তারা সাহায্য করেছেন। এক মহিলাকে সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। রাতে তারা তাকে নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে নিখোঁজ মা রহিমা বেগমের সন্ধানে ময়মনসিংহে যায় মরিয়ম ও তার পরিবারের সদস্যরা। সকালে কাপড় দেখে মায়ের লাশ দাবি করেছেন মরিয়ম। তবে পুলিশ বলেছিল ডিএনএ টেস্ট ছাড়া লাশ চূড়ান্ত শনাক্ত করা সম্ভব নয়।
এদিকে শনিবার রাতে রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, মাকে উদ্ধারের খবর পেয়েছি। আমার থেকে খুশি এই মুহূর্তে কেউ নেই। আমি এই মুহূর্তে খুলনা যাচ্ছি।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়-এ অভিযোগ তুলে তার মেয়ে আদুরি আকতার বাদী হয়ে পরদিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৬ জন আটক হয়েছেন।
ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা এলাকায় উদ্ধার হওয়া এক নারীর মরদেহ নিজের ‘নিখোঁজ’ মা রহিমা বেগম বলে ২২ আগস্ট ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। পরদিন ফুলপুর থানায় গিয়ে তিনি ছবি দেখে ও নিহতের পায়জামা দেখে ওই লাশ তার মায়ের বলে দাবি করেন মরিয়ম। তিনি লাশের ডিএনএর সঙ্গে তার ডিএনএ মিলিয়ে দেখারও আবেদন করেন।