নড়াইলে নাশকতা মামলায় জামায়াত ইসলামের সক্রিয় ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে গোপন বৈঠকের সময় সদর থানাধীন বিজয়পুর গ্রামের হাসমত ফকিরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীরা হলেন, সদরের বিজয়পুর গ্রামের হাসমত ফকির, মো. আ. হান্নান, মো. ওমর ফারুক মোল্যা, মো. আলি আজম মেখ, ও মো. আরমান হুসাইন, ভওয়াখালী গ্রামের মো. হেমায়েতুল হক ওরফে হেমু মল্লিক, আলাদাতপুর গ্রামের মো. ফরহাদ হোসেন, মো. মশিউর রহমান, উজিরপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মান্নান, হাটবড়িয়া গ্রামের মো. জালাল উদ্দিন এবং বিজয়পুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
পুলিশ জানায়, গত মাসের ২৪ তারিখ দুপুরের দিকে বর্তমান সরকারের উৎখাত ও আটক জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি দাবিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা, বোমাবাজিসহ সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙচুরের উদ্দেশ্যে সদরের মুচিরপোল এলাকায় একত্রিত হয়।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জনমনে ত্রাশ সৃষ্টি করতে তারা মিছিল ও স্লোগান দেয়। পুলিশের তৎপরতায় তারা স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাশকতা সংশ্লিষ্ট কিছু আলামত সংগ্রহ করে। এ সময় তাদের ব্যাবহৃত একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়। উক্ত ঘটনায় ওইদিন পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ থেকে ১৩০ জনকে আসামি করে থানায় নাশকতা মামলা রজু করে।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা জানতে পারি গত মাসের নাশকতা মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন গোপন বৈঠক করছে। রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেপ্তারকৃতদের ওই নাশকতা মামলায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড