যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ সাতক্ষীরা মোড়ে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকল চোরচক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে। এসময় চোরাই ৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়েছে।
বুধবার রাতের অভিযানে আটককৃতরা হচ্ছে, শার্শার কাজীরবেড় গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চ্যাসিস পরিবর্তনের মাস্টার খ্যাত আল আমিন (২৭), আমির হোসেনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৮) ও ঝিকরগাছার করিম আলী গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩৩)।
চলতি বছরে যশোরে ব্যবসায়ী, ছাত্র, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের অর্ধশত মোটরসাইকেল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা ও অভিযোগ জমা হলে পুলিশ জেলাব্যাপী অভিযান শুরু করে। এসময় পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে যশোরাঞ্চলে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীচক্র ও চোরাই মোটরসাইকেল সিন্ডিকেটের সদস্যদের নাম ঠিকানা। শনাক্ত হয় ২৫/২৬ জনের সক্রিয় সদস্য। এরপর জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ অভিযানে নামে।
এরই অংশ হিসেবে ১১ আগস্ট রাত ৮টা থেকে শার্শার নাভারণের সাতক্ষীরা মোড় এলাকার সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্রের ডেরায় অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রথমে আটক হয় সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য ইঞ্জিন চ্যাসিস পরিবর্তন করার মাস্টার খ্যাত আল আমিন। একসাথে আটক হয় তার সহযোগি নাজিম উদ্দিন। তাদের দখল থেকে উদ্ধার হয় চ্যাসিস ইঞ্জিন পরিবতনের পাঞ্চিং মেশিনসহ সরঞ্জাম। উদ্ধার হয় ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী বেনাপোল ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে সিন্ডিকেটে অপর সদস্য তৌহিদুল ইসলামকে আরো একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটক করে ডিবি পুলিশ। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল গুলির মধ্যে রয়েছে, অ্যাপচি আরটিআর ১৬০ ফোরভি, ফেজার ১৫০ সিসি, ইয়ামাহা ভার্সন টু, ডিসকভার ১২৫ সিসি।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শামীম জানিয়েছেন, সংঘবদ্ধ চক্রটি মোটরসাইকেল ও গাড়ি চুরি করে রাতরাতি চ্যাসিস, ইঞ্জিন পরিবর্তন করে রূপ পাল্টে দেয়। একটির যন্ত্রাংশ, অন্যটিতে সংযোজন ও রঙ পরিবর্তন করে। খোয়া যাওয়া কিংরা ছিনতাই হওয়া গাড়ি চেনা দুস্কর হয়ে পড়ে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হয় চোরাই গাড়ি ও মোটরসাইকেল। তবে শনাক্ত সিন্ডিকেট ও সদস্যের সংখ্যা বাড়ছে। ধরপাকড়ের সংবাদে তাদের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে এ সিন্ডিকেটের উপর কঠোর নজরদারি রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম