নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি না করে শুধু উচুঁ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলে সুফল আসবে না। রূপসা এবং ভৈরব খনন না করলে খুলনা নগরীরও সার্বিক উন্নয়ন হবে না।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মানসম্মত, পরিবেশবান্ধব, টেকসই বাঁধ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে স্বচ্ছতা এবং সময় উপযোগিতা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত পরামর্শ সভায় এ কথা বলেন। খুলনা প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর ও কেয়ার যৌথভাবে এই পরামর্শ সভার আয়োজন করে।
সিটি মেয়র আরও বলেন, নদী রক্ষা ও নদীর বাঁধ নির্মাণে স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। ৬০ এর দশকে নির্মিত বেড়িবাঁধগুলো যদি নিয়মিত সংস্কার করা যেত তাহলে আজ নদীভাঙ্গনের মতো দুর্দশা তৈরি হতো না।
পরামর্শ সভায় অংশগ্রহণকারীদের সুপারিশগুলোর উল্লেখযোগ্য : সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ করা; বাঁধ সংস্কার কাজে গতি বৃদ্ধি করা; বাঁধের প্রশস্ততা ও উচ্চতা দুটোই বাড়ানো; বাঁধসমূহ শক্ত, মজবুত ও বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য করে যাতায়াতের পথের উপযোগী করা; স্লুইচগেট এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা; পোল্ডার এলাকায় ছোট-বড় নদীগুলোর নাব্যতা বজায় রাখতে প্রয়োজনে ড্রেজিং করা; বাঁধের পানি ও দুপাশে মাটি কামড়ে রাখে এমন ধরণের শিকড় ছড়ানো গাছ ব্যাপকহারে লাগানো; বাঁধের অভ্যন্তরে চিংড়ি চাষের জন্য লবণ পানি ঢোকাতে বাঁধ কেটে কিংবা পাইপ ঢুকিয়ে বাঁধকে নষ্ট না করা; বাঁধ সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনায় লোকায়ত জ্ঞানকে কাজে লাগানো; সর্বোপরি বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের গতি ও স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। রূপান্তরের নির্বাহ পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. সালমা বেগম এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মৃত্যুঞ্জয় দাশ প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ। পরামর্শ সভায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/এনএম