খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১১ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  হিযবুত তাহরীরকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করল ভারত

নদী ভাঙ্গনের কবলে চুনকুড়ি খেয়া ঘাট

দাকোপ প্রতিনিধি

খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি খেয়াঘাট নদী ভাঙ্গনের কবলে। আতঙ্কে এলাকাবাসী। যেকোনো মুহূর্তে চুনকুড়ি নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে রোপা আমন ধানের জমিসহ বসতি ঘরবাড়ি।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে প্রবল পানি বৃদ্ধির কারণে স্রোতের তোড়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে চুনকুড়ি খেয়াঘাট এলাকায় প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধে ফাটলসহ ভাঙ্গন দেখা দেয়। খুলনা জেলা পরিষদের আওতাধীন চুনকুড়ি খেয়াঘাটটি এ এলাকার জনসাধারণের উপজেলা সদরে যোগাযোগ করার জন্য অতীব গুরুত্ব বহন করে আসছে। এলাকায় জনসাধারণসহ স্কুল ও কলেজে পড়া ছাএ-ছাএী বর্ষামৌসুমে হাঁটু কাঁদা ভেঙে প্রতিদিন চালনা বাজারসহ সদরে আসা যাওয়া করে আসছে। এছাড়াও চুনকুড়ি এনার্জি প্যাক লিঃ (জি গ্যাস) নামক কোম্পানি থাকায় প্রতি দিন শত শত শ্রমিক এ ঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে। একমাত্র পারাপারের ব্যবস্থা হচ্ছে তাদের চুনকুড়ি খেয়াঘাট। নদী ভাঙ্গনের কারণে ঠিক শেষ ভাটায় ছাএ-ছাএী ও জনসাধারণের খেয়াঘাট হতে ওঠানামা করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

জানা যায়, খুলনার উপকূলীয় উপজেলা দাকোপের ৩২ ও ৩৩ নং পোল্ডারে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে টেকসই বেড়িবাঁধ। চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করেছে। নব নির্মিত বাঁধ এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট হস্তান্তর করা হয়নি। কিন্তু তার আগেই বাঁধের বিভিন্ন অংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়।

আরও জানা যায়, জি গ্যাস কোম্পানির কারণে স্থানীয় কিছু বেকার শ্রেণীর মানুষ অত্র ঘাট এলাকায় বিভিন্ন ধরনের দোকান পাঠ তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বর্তমানে নদী ভাঙ্গনের ফলে তাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। তারা অনেকে দাবি করেছেন চায়না কোম্পানির লোকজন যদি পরিকল্পনা মতো কাজ করতো তা হলে এমন হুমকির মধ্যে তাদেরকে পড়তে হতো না। যেহেতু চুনকুড়ি খেয়াঘাট এলাকায় স্লুইচগেট তৈরির সময় গেইটের উভয় পাশে ২০০ ফুট করে ব্লক বসানো হতো তাহলে ভাঙ্গন ধরতে পারতো না। তারা এখন কোথায় যাবে, কি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করবে এমন প্রশ্ন তুলে ধরেন। তাই এলাকাবাসী নদীভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, শুধু চুনকুড়ি খেয়াঘাট এলাকা নয় বেশকিছু এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!