বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘দেশি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। নতুন পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত আরও একমাস একটু কষ্ট করতে হবে।’
আজ বুধবার সকালে রংপুরে অপু মুনশি ক্যান্সার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মজুরি কাঠামো যাচাই করা হচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুতে তা কার্যকর করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন যারা বিশৃঙ্খলা করছেন তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এরপর যে কারখানায় এমন অরাজকতা করা হবে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
দেশে অনেক সরকার ক্ষমতায় এলেও শুধু আওয়ামী লীগ সরকার পোশাকশ্রমিকদের নিয়ে ভেবেছে বলেও উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা আছে। ১৬০০ টাকার বেতন নিয়ে তিনি ৮ হাজারে নিয়ে গেছেন। এবারও সম্মানজনক বেতন বৃদ্ধি করা হবে।’
যেসব দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা হচ্ছে এরকম তিন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতে চাচ্ছে মার্কিন সরকার এবং এই তালিকায় বাংলাদেশ আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো খবর জানা নেই। তবে তিনি আশা করেন এরকম সিদ্ধান্ত নেবে না যুক্তরাষ্ট্র।’
নিত্যপণ্যের বাজার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত হলেও কিছু টেকনিক্যাল কারণে সময় পিছিয়েছে। আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যে ডিম আমদানি হবে।’
পেঁয়াজ আমদানি প্রসঙ্গে মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে দর বেঁধে দিয়েছে। এরপর আমাদের ট্যাক্স আছে। এ কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে পৌঁছে ১১০-১১৫ টাকা হয়ে যায়। এছাড়া দেশি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। নতুন পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত আরও একমাস একটু কষ্ট করতে হবে।’
আলু আমদানিতেও মন্ত্রণালয় তৎপর আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা আমদানির জন্য আসবেন তাদের সহায়তা করা হবে।’
খুলনা গেজেট/ টিএ