নতুন আঙ্গিকে সম্প্রসারণ হচ্ছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) খানজাহান আলী হল। প্রায় ২২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫ তলা বিশিষ্ট এই হলের নির্মাণ কাজ শেষ হলে থাকতে পারবেন ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) উচ্চ প্রকৌশল শিক্ষায় একটি অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তিন যুগ পর ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) হিসেবে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩ টি অনুষদের আওতায় ২০টি বিভাগ, ৩ টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৮৫১ জন স্নাতক ও ১ হাজার ৭৭৭ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীসহ মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬২৮ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আবাসিক সংকট দীর্ঘদিনের। সাড়ে ছয় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক হল রয়েছে মাত্র ৭ টি। এরমধ্যে ৬ টি ছাত্র হলে ১ হাজার ৯৫০ জন এবং ১টি ছাত্রী হলে ১ হাজার ছাত্রীর আবাসন সুবিধা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এবং একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ জুলফিকার হোসেন খুলনা গেজেটকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকট দূরীকরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরো ৪ টি নতুন আবাসিক হল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে ২টি ছাত্র হল এবং ২ টি ছাত্রী হল। এছাড়া ২ টি হলের সম্প্রসারণ কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ২২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫ তলা বিশিষ্ট খানজাহান আলী আবাসিক হলের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ১ম ফেজের ৯ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার ৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২য় ফেজের ১৪ কোটি টাকার ৪০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রসারিত হলটি নতুন আঙ্গিকে নির্মাণ করা হচ্ছে। থাকবে ডাইনিং ব্লক, অফিস রুম, নামাজের স্থান, লাইব্রেরীসহ আরো অনেক সুবিধা থাকবে। এছাড়া হলের প্রত্যেকটি রুমের সামনে ব্যালকনির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সম্প্রসারিত হলে ৪’শ ছাত্রের আবাসন ব্যবস্থা হবে। এছাড়া একই সাথে লালন শাহ হলেরও সম্প্রসারণের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে কুয়েট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ৮’শ ৩৮ কোটি ৩৬ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার। প্রকল্পের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বের ১৬ দশমিক ৩০২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ১০ তলা একাডেমিক ভবন ও ১০ তলা ইনস্টিটিউট ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় ৫ তলা বিশিষ্ট বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ফরেন স্টুডেন্ট ডরমেটরিসহ বেশকিছু অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। লেক, খেলার মাঠসহ অন্যান্য স্থাপনাও করা হবে।
জানা যায়, ৫০ বছর পূর্বে ১৯৭৭ সালে ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশে হযরত খানজাহান আলী (রাঃ)’র নামে নির্মিত হয় খানজাহান আলী আবাসিক হলটি। সম্প্রসারিত হল নির্মাণের ফলে পুরানো হলের কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলা হবে। M/S. AACAT(jv) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২য় ফেজের নির্মাণ কাজটি করছে। কাজের গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুতই কাজটি সম্পন্ন করার ব্যাপারে আশাবাদী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।