খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

নড়াইলে চাঞ্চল্যকর আমেনা বেগম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেপ্তার

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল সদর থানাধীন বিছালী গ্রামের চাঞ্চল্যকর আমেনা বেগম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ৪ আগস্ট নড়াইল সদর থানাধীন বিছালী গ্রামে মোঃ মনির হোসেন মোল্যার স্ত্রী আমেনা বেগম (৫৭) নিজ বাড়িতে হত্যার শিকার হয়। উক্ত ঘটনায় নড়াইল সদর থানার মামলা নং-০২, তারিখ ১২/০৮/২০২৪ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার করার জন্য নড়াইল জেলা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। অতঃপর গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সাজেদুল ইসলাম এবং এসআই (নিঃ) মোঃ সেলিম মহালদার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ আসিফ মোল্যা (২১) কে গ্রেপ্তার করে।

আসিফ মোল্যা একই গ্রামের মোঃ বাবর আলী মোল্যার ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে ভিকটিম আমেনা বেগম এর লুষ্ঠিত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, ভিকটিম মৃত আমেনা বেগম সম্পর্কে আসামী আসিফ মোল্যার গ্রাম্য দাদী হয়। ভিকটিম আমেনার পরিবারের সাথে আসামীর পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। বিজ্ঞ আদালতে উক্ত বিষয় নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। তারপরেও ভিকটিম আসামীদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। গত ২৮ জুলাই ভিকটিম আমেনা বেগম আসামীদের বাড়িতে যায় এবং আসামীর মায়ের নামে তিনি আজেবাজে কথা বলেন এবং গালিগালাজ করেন। তখন আসামী আসিফ খুব কষ্ট পায়। গত ২ আগস্ট ভিকটিমের হাঁস চুরি হলে আসিফকে চোরের অপবাদ দেয়। উক্ত ঘটনায় আসিফের মা তাকে মারপিট শুরু করে। এতে তার অনেক রাগ হয়। এসব কারণে আসামী মোঃ আসিফ মোল্লা গত ৪ আগস্ট রাত আনুমানিক সাগে ১০ সময় ভিকটিমের বাড়িতে যায়। তখন গেটে তালা দেওয়া ছিল। আসিফ ভিকটিম আমেনা বেগমকে দাদী বলে ডাক দিলে তিনি গেইটের তালা খুলে দেয়। তারপর আসামী ঘরের ভিতরে যায়। তখন ভিকটিম বলে যে, “তুই বসতি থাক আমি কয়ডা ভাত খেয়ে নিই। ভিকটিম ভাত খাওয়ার পর বলেন যে, “আমি শুয়ে পড়ব, অনেক রাত হইছে। তুই আরেকটু বস, তখন আসিফ পিছন থেকে তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেঁচিয়ে ধরে। কিছুক্ষণ পরে তিনি আস্তে আস্তে নিশ্বাস নিচ্ছিল। তারপর আসিফ ভিকটিমকে তার পরনের শাড়ি দিয়ে গলায় আবার পেঁচিয়ে ধরে এবং শ্বাস রোধ করে মেরে ফেলে। আসিফ ভিকটিমের ব্যবহৃত আইটেল কোম্পানির মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায়।

আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!