নড়াইলের সদর উপজেলা এবং লোহাগড়া উপজেলায় দুই শতাধিক পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে নড়াইল জেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গণভবন থেকে মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় দেশব্যাপী সর্বমোট ১৮,৫৬৬টি উপকারভোগী পরিবারের মাঝে এ জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উক্ত অনুষ্ঠানে নড়াইল প্রান্ত থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উপকারভোগী পরিবারগুলোর মাঝে জমির দলিল হস্তান্তর করেন।
এদিন ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পের ৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে নড়াইলের মোট ২১৩টি পরিবারের মাঝে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ছিলো ১১৬টি এবং লোহাগড়া উপজেলায় ৯৭টি। আজ হস্তান্তরকৃত জমি ও ঘরসহ এ পর্যন্ত নড়াইল সদর উপজেলায় মোট ৩০৩টি এবং লোহাগড়া উপজেলায় মোট ২৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কল্যাণে পুনর্বাসিত হন। এর আগে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় মোট ৬২৩টি পরিবারের কাছে জমি ও গৃহ হস্তান্তর সম্পন্ন হওয়ায় গত ২০২৩ সালের ৯ আগস্টে কালিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো। এ তালিকায় আজ নড়াইল সদর ও লোহাগড়া উপজেলাও যুক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে সমগ্র নড়াইল জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হলো।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী ও বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষদেরকে পুনর্বাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসনে আশ্রয়ণ প্রকল্প চালু করেন। ১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটি পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে সারাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। এ পর্যন্ত এ প্রকল্পের সুবাদে বাংলাদেশের মোট ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে