দু’বছর করোনা মহামারীর কারণে শারদীয় দুর্গা পূজায় আনন্দ উৎসব না থাকলেও এবার উৎসব মুখর পরিবেশে প্রস্তুতি চলছে। মন্ডপগুলোতে স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। নগরীর ৭১ শতাংশ পূজা মন্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেখে এসব মন্ডপে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে।
খুলনা মহানগরীতে এবারে ১৩০টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে।
নগর পূজা উদযাপন কমিটি ও অন্যান্য সূত্র বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো হলো আর্য্য ধর্মসভা, বড় বাজার, আদি কালিবাড়ি, সোনাপট্টি, উমানন্দ শিব মন্দির, বাগমারা গোবিন্দ মন্দির, শীতলাবাড়ি, দোলখোলা, রূপসা মহাশ্মশান, শিববাড়ি কালি মন্দির, ছোট বয়রা কালিবাড়ি, বয়রা চন্নার বেড়, পৈপাড়া, বানরগাতি, হরষিৎ, বারগাতি সার্বজনীন, লবনচরা সার্বজনীন, হোগলাডাঙা, কৈয়া মিলন মাতৃ মন্দির, বয়রা পশ্চিম পাড়া, বৈকালী পাল পাড়া, গীতাশ্রয়ী, প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, উকিলবাড়ি, পাবলা সার্বজনীন, পাবলা বনিকপাড়া গাছতলা, দৌলতপুর ঋষি পাড়া, দেয়ানা দাসপাড়া, পাবলা মধ্যপাড়া, পাবলা সাহাপাড়া, সরাকারি বিএল কলেজ, মহেশ্বরপাশা কালিবাড়ি, মহেশ্বরপাশা বনিকপাড়া, মহেশ্বরপাশা মজুমদারপাড়া, মহেশ্বরপাশা ঘোষপাড়া, মহেশ্বরপাশা শাহাপাড়া, মহেশ্বরপাশা ঋষি পাড়া, মহেশ্বরপাশা সেনপাড়া, মহেশ্বরপাশা মল্লিকপাড়া, আটরা পালপাড়া, মশিয়ালী গিলাতলা সার্বজনীন, আড়ংঘাটা সার্বজনীন, আড়ংঘাটা কাপালী, শলুয়া বাজার সার্বজনীন, শলুয়া সার্বজনীন পুজা মন্দির, পাহাড়পুর গাছতলা, গাজীতলা সার্বজনীন, ঠাকুরাণীতলা সার্বজনীন, কালীবাটি সার্বজনীন, খামারবাটি উত্তরপাড়া সার্বজনীন, লতা শীতলাতলা সার্বজনীন, পূর্ব বিল পাবলা সার্বজনীন, মোজারঘুটা সার্বজনীন, রায়ের মহল সার্বজনীন হরি মন্দির, রংপুর সবুজসংঘ সার্বজনীন ও নেপাল আশ্রম পূজা মন্দির।
কেএমপির সুত্র জানায়, দুর্গোৎসব সফল করার লক্ষে বৃহস্পতিবার কনফারেন্স রুমে এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। নগর পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল ব্যানার্জী জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের জন্য এখনি মন্ডপে মন্ডপে পুলিশি টহল প্রয়োজন। তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
আগামী ১ অক্টোবর শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসষ্টি, ৫ অক্টোবর বিজয়াদশমীর মধ্যদিয়ে পূজা উৎসবের সমাপ্তি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে দেবীর গজে আগমন, নৌকায় গমন।