খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘নগরবাসীকে দেয়া স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তোলার অঙ্গীকার যে কোন মূল্যে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে নগরীতে প্রায় এক হাজার পাঁচ’শ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে প্রায় চার’শ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে খুলনা আধুনিক নগরীতে পরিণত হবে।’
সিটি মেয়র সোমবার সকালে নগরীর একটি হোটেলে ‘জেন্ডার ও স্যানিটেশন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। নারী ও পুরুষ কাউন্সিলরদেরকে জেন্ডার ও পয়:নিস্কাশন সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে এসএনভি-নেদারল্যান্ডস ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এর সহায়তায় ‘সিডাব্লিউআইএসই প্রজেক্ট-খুলনা সিটি কর্পোরেশন’ দুই দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
সংস্থার গভর্ন্যান্স এ্যাডভাইজার শহিদুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) পলাশ কান্তি বালা।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র নগরীর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সুবিধা প্রদানে গৃহীত কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, কেসিসি’র পাশাপাশি খুলনা ওয়াসাও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হলে নগরীতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত হবে। সিটি মেয়র জনহিতকর এ সকল কাজে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে কেসিসি’র প্যানেল মেয়র এড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর শেখ আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ আব্দুস সালাম, শেখ মোহাম্মদ আলী, শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্স, মোঃ ডালিম হাওলাদার, মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, মোঃ মনিরুজ্জামান, এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা, শেখ মোসারাফ হোসেন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, রহিমা আক্তার হেনা, পারভীন আক্তার, মাহমুদা বেগম, সচিব মোঃ আজমুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: আব্দুল আজিজ, সহকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মিউল ইসলাম প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/এনএম