যশোরের শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দর নগর নওয়াপাড়ার নদী বন্দর এলাকায় ভৈরব নদী দখল করে ও স্রোতধারা বাঁধাগ্রস্ত করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ির নির্মিত লং-বুম উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসা এর নেতৃত্বে বুধবার সকাল ১০টায় এ অভিযান শুরু হয়।
নওয়াপাড়া নদী বন্দরের রাজঘাট মাইলপোস্ট নামক স্থানে ব্রাইট ঘাট থেকে এ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। বন্দর এলাকায় নির্মিত অনুমোদবিহীন ৬০ টি লং-বুম উচ্ছেদের লক্ষে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপি অভিযানের প্রথম দিনে নয়টি লংবুম উচ্ছেদ করা হয়। বৈরি আবহাওয়ার কারণে উচ্ছেদ অভিযান কিছুটা বাঁধাগ্রস্ত হলেও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের দাবি সবগুলো অবৈধ লংবুম উচ্ছেদ করে নদীর স্রোতধারা স্বাভাবিক রাখতে কাজ চলমান রাখবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় নওয়াপাড়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে পূনরায় এ অভিযান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া অভিযান সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়। এ সময় ব্রাইট ঘাট, চাকলাদার স্টোন ঘাট, তালতলা স্টোন ও পাথর ঘাট, সরকার ট্রেডার্সের ঘাট, আকরাম হাজীর ঘাট, দীপু স্টোন ঘাট, অধিকারি ট্রেডার্সের ঘাট, নওয়াপাড়া ফেরিঘাট সংলগ্ন রফিকের ২টি ঘাটের লং-বুম উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানের বিষয় নিশ্চিত করে নওয়াপাড়া নদী বন্দরের পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, নওয়াপাড়া নদী বন্দর এলাকায় নদীর স্রোতধারা বাঁধাগ্রস্ত করে অবৈধভাবে নির্মিত ৬০ টি লং-বুম উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম দিন বৈরি আবহাওয়ায় কিছুটা বাঁধাগ্রস্ত হলেও সবগুলো লং-বুম উচ্ছেদ করা হবে। এছাড়া নদী বন্দরের সীমানা নির্ধারণ পূর্বক সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরিকল্পনা বিআইডব্লিউটিএ এর রয়েছে।
অভিযানের উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক মোঃ আশরাফ হোসেন, অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানজিলা আখতার, অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম শামীম হাসান, নওয়াপাড়া নদী বন্দরের পরিচালক মাসুদ পারভেজসহ বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভয়নগর থানা ও নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যগন ও সাংবাদিকবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/ টি আই