গণধর্ষণ মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ৬। শুক্রবার তাকে ঢাকার মিরপুর পল্লবী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি হল কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম
র্যাবের পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, গণধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরী খুলনার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় বসবাস করত। স্কুলে যাওয়া আশার পথে ভিকটিমের সাথে আসামী শান্ত বিশ্বাসের পরিচায় হয়। ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেলে আসামী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে সাহেবের কবরখানার সামনে ডেকে নেয়। সেখান থেকে কৌশলে আসামি সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন বিহারী কলোনীর মোড়ে অবস্থিত অপর আসামির ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। ভিকটিম কিছু বুঝে ওঠার আগে অন্যান্য পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি তখন বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত গণধর্ষণ মামলার অন্যতম পলাতক আসামী কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতমসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল উক্ত মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতমকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ এবং র্যাব-১, ঢাকার একটি যৌথ আভিযানিক দল ১৫ এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১০ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড