খুলনার বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাদের ডাক্তারী পরীক্ষা হওয়ার কথা। ধর্ষণের একটি ঘটনায় এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও অপর দু’টি ঘটনায় কোন মামলা বা গ্রেফতার হয়নি এখনো।
খুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বটিয়াঘাটা উপজেলায় সুখদাড়া এলাকায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ১২ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয় শীল (৫০) নামে এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার থানায় মামলা দায়ের হলেও আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুখদাড়া এলাকায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার তিনদিনেও আসামী গ্রেফতার হয়নি।
এদিকে বাটিয়াঘাটা উপজেলার ঝিনাইখালি এলাকায় ১২ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভিকটিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দাদার বাড়িতে বসবাসকারী ১২ বছরের শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রতিবেশী ট্রাক চালক ওজিয়ার রহমান (৪৫) প্রায়ই ধর্ষণ করতো। ঘটনাটি জানাজানি হলে সোমবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলার প্রস্ততি চলছিলো।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রোববার ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সঞ্জয় শীল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে। অপর ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। তবে তদন্ত চলছে।
এদিকে ডুমুরিয়া থানার বানিয়াখালি এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ডুমুরিয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে সোমবার বিকেলে তাকে খুমেকের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। তবে এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। অভিযুক্ত ধর্ষককেও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ঘটনাটি জানি। তবে ভিকটিমের কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হচ্ছে, তাই পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভিকটিম শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তও আমাদের নজরদারীতে আছে, মঙ্গলবারের মধ্যে এ বিষয়টি ক্লিয়ার হবে আশাকরি।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ