খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরে বিএল কলেজ রোডে থানা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৪ আগষ্ট) বিকেলে সংঘটিত এ হামলার ঘটনায় বিএল কলেজ শাখা ছাত্রলীগকে দায়ি করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। খুলনা মহানগর বিএনপির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে দলের নেতারা এ অভিযোগ করেছেন।
এতে বলা হয়, জ্বালানী তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে বুধবার বিকেল ৪টায় দৌলতপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি আহবান করা হয়।
নির্ধারিত সময়ে কর্মসূচি শুরু হলে থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে একের পর এক মিছিল এসে সমাবেশস্থলে আসতে থাকে। নেতাকর্মীদের পদচারনায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশস্থল। মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন সভা সঞ্চালনা করেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহির।
সমাবেশে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসুচি বানচাল করতে সকাল থেকেই থানা ও বিএল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী মহড়া দিতে থাকে। কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জটলা তৈরি করে এবং মহড়া দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার পায়তারা চালায়। যে কোন সময় সমাবেশস্থলে হামলা চালাবে বলেও তারা প্রচার করতে থাকে।
এতে আরও অভিযোগ করা হয়, বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে শীর্ষ নেতারা সমাবেশের কাজ শেষ করে ফিরে গেলে বিকেল ৬টার দিকে কলেজ শাখার প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, রড ও রামদা নিয়ে বিএনপি অফিসে হামলা চালায়। তারা অফিসের টেবিল ও অন্তত ৩০ টি চেয়ার কুপিয়ে ও লাঠির আঘাতে ভেঙ্গে ফেলে। তাদের সশস্ত্র হামলা, ভাংচুর, চিৎকার ও গালিগালাজে সমগ্র এলাকায় চরমভাবে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপির কোন নেতাকর্মী আহত না হলেও দলীয় কার্যালয় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ঘটনা সম্পর্কে মিডিয়া কর্মীদের অবহিত করতে বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে।