খুলনায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া নাজিমুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী খুলনা গেজেটকে বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে দত্ত জুয়েলার্সের মালিক উত্তম দত্ত বাদী হয়ে নাজিমুদ্দিনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তিনি মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করেছেন। দোকান থেকে ৩০ ভারি সোনা ও নগদ ২ লাখ টাকা খোয়া গেছে বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে প্রেরণ করা হলে আদালত শুনানির দিন ধার্য করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, নাজিমুদ্দিন ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা। আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও পেশাদার । ডাকাতির সময়ে তার মুখে গামছা বাঁধা ছিল। নাজিমুদ্দিন স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। একটি বোমা বিস্ফোরণের সময়ে তার মুখ থেকে গামছা সরে যায়। ফুলতলা থেকে আটক হওয়ার পর স্থানীয়দের সামনে হাজির করা হলে তারা তাকে শনাক্ত করে। এই ডাকাতিকালে তার সাথে আরও ৪ জন ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে নাজিমউদ্দিন একেক সময়ে একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছে । রিমান্ডে নিলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে ।
উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর এবিএম নুরুজ্জামান খুলনা গেজেটকে বলেন, ডাকাতির সময়ে ব্যবহৃত মাইক্রোটি ঢাকার মিরপুর ১ থেকে ভাড়া নেয় তারা। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চালানো হচ্ছে। নাজিমুদ্দিন ডাকাতির ঘটনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে কোন কিছু প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
কেএমপির পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে গ্রেপ্তার নাজিমুদ্দিনের কাছ থেকে গহনা রাখার ১৫ টি ট্রে, স্বর্ণের কানের দুল২টি, আংটি ৫ টি, নাকফুল ১ টি চাপাতি ৯ টি ও নগদ ৪ হাজার ২৪৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি/এসজেড