ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পদমদী গ্রামের ইকবাল হোসেন ও রিনি খাতুন দম্পতির প্রতিবন্ধী ছেলে রাব্বী (২০)। রাব্বীর দিনমজুর বাবার সামান্য উপার্জনে চলে তাদের সংসার। অভাবের সংসারে ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ বিভিন্ন জনের কাছে ধরণা দিলেও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড জোটেনি শারীরিক প্রতিবন্ধী রাব্বীর কপালে। অথচ, রাব্বিকে উপজেলা সমাজ সেবা অফিস থেকে ২০১৬ সালে প্রতিবন্ধী পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে।
রাব্বীর মা রিনি খাতুন বলেন, রাব্বী জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। হাত, পা অচল, কথা বলতে পারে না। কোলে করে যেখানে রাখা হয় সেখানেই থাকে ছেলেটার যাবতীয় কাজকর্ম আমাকেই করতে হয়। দিনমজুর স্বামীর সামর্থ্য যা ছিল চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার সব শেষ হয়ে গেছে। অনেক চিকিৎসা করিয়েছি তবুও কোনো ফল হয়নি। পাশেই একটি প্রতিবন্ধী স্কুলে ভর্তি হলেও সেখান থেকে কোন ভাতা পাই না। এ অবস্থায় আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটার জন্য একটি সরকারি সুবিধা প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য অনেক ঘুরেছি কাজ হয়নি। আমি এই প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছি।
এ বিষয়ে উপজেলার ত্রিবেণী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেকেন্দার মোল্লা আমাকে বলেন, রাব্বীর ব্যাপারে আমার জানা ছিল না তবে আপনি বললেন অবশ্যই আমি রাব্বীর প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের ব্যাপারে সহযোগীতা করবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, রাব্বীর ভাতার ব্যাপারে অবশ্যই সহযোগীতা করবো তারা যেন আমার অফিসে এসে আমার সাথে একটু যোগাযোগ করে।
খুলনা গেজেট/এমএনএস