জনউদ্যোগ ও গুণীজন স্মৃতি পরিষদ এর যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় শিল্পী শশিভূষণ পাল কর্তৃক তৈরি শতবর্ষী দেশের প্রথম অঙ্কণশিল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সংরক্ষণ করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, খুলনা নজরুল একাডেমী এর সাধারণ সম্পাদক মাসুদ মাহমুদ, খুলনা উন্নয়ন ফোরাম কো- চেয়ারম্যান ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, মহানগর ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমন্ডলী সদস্য দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, খুলনা আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়, খুলনা চারুকলা সংসদের সদস্য প্রশান্ত কুমার দাশ, সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি ইসরাত আরা হীরা, সাথী এর সভাপতি সালমা জাহান, ছায়াবৃক্ষ প্রধান নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আলম বাদশা।
বক্তারা বলেন, শতবর্ষী ‘মহেশ্বরপাশা স্কুল অব আর্ট’ ভবনটি রক্ষায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি খুলনা সার্কিট হাউসে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় খুলনা জেলা প্রশাসক সভাপতিত্ব করেছিলেন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় ভবনটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ভবনটির কাঠামোগত দিক বিবেচনা করে কিভাবে একে রক্ষা করা যাবে কমিটির সেই পরামর্শ দেওয়ার কথা ছিল। সঙ্গত কারণেই আমরা ধরে নিয়েছিলাম, ভবনটি রক্ষা পাবে। কিন্তু এখন দেখছি, উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে ভবনটি ভেঙ্গে পড়েছে দাবি করে ওই ভবনটির চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে; যা খুবই দু:খজনক।
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দ অঙ্গীকার করেছিলেন যে, খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশা আর্ট স্কুলের শতবর্ষী ভবনটি রক্ষা করেই সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু উন্নয়ন কর্মকান্ডের চাপে ওই ভবনের একাংশ ভেঙ্গে গেছে। আমাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার অংশ হিসেবেই ওই চত্ত্বরে একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের পাইলিং কাজের কারণে ভবনটির একাংশ ভেঙ্গে পড়েছে । প্রকৃতপক্ষে, ভবনটি রক্ষার কোন উদ্যোগই নেয়া হচ্ছে না। যদিও গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভবনটি রক্ষার জন্যে একটি কারিগরি কমিটি গঠিত হয়েছিল; ওই কমিটিকে এক মাসের সময় দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনটিও আলোর মুখ দেখছে না।
আমাদের দাবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক এই ভবনটি রক্ষা করে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা ও পাশাপাশি ওই ভবনটিকে আর্ট গ্যালারি হিসেবে গড়ে তোলা।