বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের চেতনায় আর একটি গণঅভ্যূত্থান সৃষ্টির মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনায় বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার ( ০৮ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির একাংশের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করতে, জনগনের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, পরাশক্তির আগ্রাসন থেকে দেশকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যূত্থানের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ৭ই নভেম্বর সিপাহী-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। এই বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি পেয়েছিল এক যোগ্য নেতৃত্ব জিয়াউর রহমানকে, যিনি ’৭১-এ জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সরকার জানে যে বিএনপির হাতেই রয়েছে গণতেন্ত্রর রক্ষাকবচ। আর তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ রেখে আন্দোলনকে দমন করতে চায়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলে যেন তিনি দেশে ফিরতে না পারেন। দ্রব্যমূল্যের বাড়ছে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে হেলাল বলেন, এই অবৈধ মধ্যরাতের সরকারের পরিবর্তে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জনগনের মুক্তি নেই।
মহানগর বিএনপির সিনিয়ন সহ সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা শফিকুল আলম তুহিন, এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, মেজবাউল আলম, শেখ সাদী, কে এম হুমায়ুন কবির, মাহবুব হাসান পিয়ারু, আজিজা খানম এলিজা, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, সুলতান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা আমিন, একরামুল হক হেলাল, শামীম কবির, মোল্লা সাইফুর রহমান, ইবাদুল হক রুবায়েদ, আতাউর রহমান রুনু ও আবুল কালাম জিয়া। বিএনপি নেতা মাসুদ পারভেজ বাবুর সঞ্চালনায় কর্মসূচির সূচনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লা কিমিয়া সাদাত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খান জুলফিকার আলী জুলু, মোস্তাউল বারী লাভলু, মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন, শাহিনুল ইসলাম পাখী, মুর্শিদ কামাল, হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাজী মিজানুর রহমান, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, ইলিয়াস মল্লিক, হীরু মল্লিক, আরিফুল ইসলাম আরিফ, আল আমিন সানা, আব্দুল আজিজ সুমন, আব্দুর রকিব মল্লিক, রফিকুল ইসলাম বাবু, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, নিঘাত সীমা, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, খান ইসমাইল হোসেন, আনোয়ার হোসেন আনো, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মতলেবুর রহমান মিতুল, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, আজিজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, মুনতাসির আল মামুন, শামসুন নাহার লিপি, জাভেদ মল্লিক, হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/এমএম