দীর্ঘ দিনেও পাকা হয়নি খুলনার পাইকগাছার হরিঢালী ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচলের ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি। শুধু দেয়াড়া গ্রামের মানুষের চলাচলই নয় বরং রাস্তাটি দিয়ে পাশ্ববর্তী তালা উপজেলার জেঠুয়া, জালালপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষও এ রাস্তা দিয়েই চলাচল করে থাকে। বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ, প্রসূতি নারী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণের।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কয়েক বার পরিবর্তন হলেও রাস্তার ব্যাপারে খবর রাখেননি কেউ। কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও জনপ্রতিনিধিরা কার্যত কোন পদক্ষেপই নেননি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে দেয়াড়া গ্রাম হয়ে তালা উপজেলার জেটুয়া খেয়াঘাটে গিয়ে মিলেছে। আর এ রাস্তা দিয়ে শুধু দেয়াড়া গ্রামের মানুষই চলাচল করে না পাশ্ববর্তী তালা উপজেলার জেটুয়া, জালালপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষও চলাচল করে থাকে। দীর্ঘ এ কাঁচা পথ পাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীরা রহিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে থাকে। এমনকি সীমাহীন দুর্ভোগেও স্থানীয়রা এ রাস্তা দিয়েই বাধ্য হয়ে রহিমপুর ও কপিলমুনি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী কেনাকাটা করতে যায়। পাইকগাছা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য এই রাস্তা দিয়েই তাদেরকে চলাচল করতে হয়।
এব্যাপারে দেয়াড়া গ্রামের আলিম বিশ্বাস বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরোলেও তাদের এলাকার উন্নয়ন হয়নি।তারা অবহেলিত থেকেই গেছেন। সরকার দেশে অনেক উন্নয়ন করলেও স্থানী জনপ্রতিনিধিদের কেউ এ রাস্তাটি পাকা করণের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
রহিমপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি জানান, চরম ভোগান্তির মুখেও তাদের বাধ্য হয়েই এ রাস্তাটি দিয়েই চলতে হয়। আর স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেশি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম ও বই খাতা নষ্ট হয়। রাস্তাটির দ্রুত সংস্কারে সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
স্থানীয়দের কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলের দূর্ভোগের কথা জানিয়ে হরিঢালী ইউ আর এস এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার জানান, বৃষ্টি হলেই এলাকার বহু শিক্ষার্থী স্কুলেই আসতে পারে না। ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হলেও কোন প্রকার পদক্ষেপ নেননি বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকি রাজু বলেন, তার ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তাই ইটের সোলিং ও পিচ হয়েছে। অতি দ্রুত এ রাস্তাটিও পাকা করন করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
এব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, রাস্তাটি এত খারাপ তার জানা ছিল না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে রাস্তাটি পাকা করণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই