খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা

দুর্ভোগের অংশ বাদ রেখে তেলিগাতী বাইপাস সড়ক সংস্কার

একরামুল হোসেন লিপু

গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সামনে থেকে তেলিগাতী পাঁকারমাথা পর্যন্ত দুর্ভোগের মূল অংশটুকু বাদ রেখেই তেলিগাতী কেডিএ বাইপাস সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করলো এলজিইডি। সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন চালক এবং পথচারীদের ৫০০ মিটার সড়কের দুর্ভোগ পেরিয়ে সংস্কার হওয়া সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

জানা যায়, খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়িগেট কুয়েট এপ্রোচ সড়ক হতে তেলিগাতী কেডিএ বাইপাস একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সড়কটির গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। সড়কটিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট),গভঃ ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, খুলনা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষক কেন্দ্র, প্রতিভা প্রি ক্যাডেট স্কুল, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেরসহ বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে শত শত যানবাহন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, টিটিসি’র প্রশিক্ষণার্থী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ পথচারী চলাচল করে থাকে। শহরের ব্যস্ততা এড়াতে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন এবং ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনগুলো সড়কটি দিয়ে চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কটির গভঃ ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের সামনে থেকে ভাঙ্গাচোরা শুরু হয়ে তেলিগাতী পাঁকারমাথা হতে কেডিএ বাইপাস পর্যন্ত বেহাল অবস্থা বিরাজ করছিলো। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি, দিঘলিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টায় তেলিগাতী পাঁকার হতে কেডিএ খুলনা- মংলা হাইওয়ে মহাসড়ক পর্যন্ত পৌনে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌনে ১ কিঃ মিঃ সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়। সংস্কার কাজ থেকে বাদ রাখা হয় গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সামনে থেকে তেলিগাতী পাকারমাথা পর্যন্ত ৫০০ মিটার ভাঙ্গাচোরা এবং সড়কের মাঝখানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া সড়কের প্রথমাংশের দুর্ভোগের মূল অংশটুকু।

সড়কটির শেষাংশের সংস্কার কাজ হলেও সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন চালক এবং পথচারীদের দুর্ভোগের শেষ হলো না। বর্ষা মৌসুমে এ দুর্ভোগের মাত্রা আরো বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। সড়কটির দুই পাশে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে সড়কটির উপর হাঁটু পানি জমে থাকে।

ইতিপূর্বে সড়কটির শেষ গন্তব্য ছিলো তেলিগাতী পাঁকারমাথা। ২০১০ সালে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) শহরে যানবাহনের চাপ এড়াতে তেলিগাতী পাঁকারমাথা হতে বাইপাস পর্যন্ত সোয়া ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩০ ফুট চওড়া এ সড়কটি নির্মাণ করে। নির্মাণের ১ বছর পর কেডিএ সড়কটি’র রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র কাছে হস্তান্তর করে। নির্মাণের পর দীর্ঘ এক যুগ পর সড়কের দু’পাশে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রেখে সড়কটির পৌনে ১ কিঃমিঃ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয় ।বর্তমানে সড়কটি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু তারেক সাইফুল কামাল খুলনা গেজেটকে বলেন, সড়কটির গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সামনে থেকে তেলিগাতী পাঁকারমাথা পর্যন্ত ৫০০ মিটারের সংস্কার কাজ আগামী অর্থবছরে জিওবি মেইনটেইন্যান্সের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে ইনশাআল্লাহ।

এদিকে তেলিগাতী পাঁকারমাথা হতে কেডিএ খুলনা -মংলা হাইওয়ে সড়ক পর্যন্ত সংস্কার হওয়া পৌনে ১ কিঃকিঃ সড়কের গুণগতমান নিয়েও এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। সড়কের পাশের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা শেখ জাহিদ ইকবাল বলেন, নির্মাণের পর দীর্ঘ যুগ পর সড়কটির সংস্কার কাজ আরও টেকসই এবং মজবুত হওয়া উচিত ছিলো। কাজের গুণগত মান নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন । সড়কটির সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে রাতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছেে।

অভিযোগের জবাবে উপজেলা প্রকৌশলী আবু তারেক সাইফুল কামাল বলেন, সড়কটির সংস্কার কাজে আমাদের সার্বক্ষণিক তদারকি ছিলো। গুণগতমান বজায় রেখে সিডিউল অনুযায়ী সড়কটির সংস্কার কাজ হয়েছে। রাতের আঁধারে পিচ ঢালাইয়ের কাজ করতে গেলে আমরা ঠিকাদারির প্রতিষ্ঠানকে বাঁধা দিয়েছি।

অন্যদিকে খুলনা যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়িগেট হতে গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল পর্যন্ত ১হাজার  ১৮৮ মিটার কুয়েট এপ্রোচ সড়কটি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত। গত বছরের জানুয়ারি থেকে সড়কটির সৌন্দর্য্যবর্ধনের জন্য ড্রেন নির্মাণ কাজের খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!