জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে প্রতারণা, জালিয়াতি ও তথ্য গোপনের মাধ্যমে কনিষ্ট শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত মামলায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের চার শিক্ষক আত্মসমর্পন করেছে। এদের মধ্যে অসুস্থ্যতাজনিত কারণে একজনের জামিন মঞ্জুর হলেও অপর তিনজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরার বিশেষ আদালতে আসামীরা আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে বিশেষ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোঃ আব্দুল আলীম আল রাজী শুনানী শেষে তাদের তিনজনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হওয়া আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নাকতাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ সরদারের ছেলে ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এসএম আবু রায়হান, সদর উপজেলার নেবাখালি গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে দর্শণ বিভাগের প্রভাষক নাসির আহম্মেদ এবং সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক অরুন কুমার সরকার।
আজ বিকালে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে অসুস্থ্যতার মেডিকেল সার্টিফিকেট বিবেচনা করে আদালত জামিন দিয়েছে একই মামলার অপর আসামী দেবহাটার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের দেলবার মৃধার ছেলে সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. মনিরুল ইসলামকে। তবে মামলার প্রধান আসামী সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু সাঈদ পলাতক রয়েছেন।
সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে চার প্রভাষককে এমপিওভুক্ত করার মাধ্যমে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উপরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক প্রবীর কুমার দাস ২০২২ সালের ৯ মার্চ খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় মামলা দায়ের করেন।
যা পরবর্তীতে সাতক্ষীরা বিশেষ আদালতে নথিভুক্ত হয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা দুদকের খুলনা অফিসের সহকারি পরিচালক বিজন কুমার রায় চলতি বছরের ৫ মে আদালতে ওই পাঁচ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত ২৬ অক্টোবর দুদকের দাখিলকৃত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ