দুই মাস চার দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভারত থেকে গম আমাদানি শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে বৃহত্তর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মালবাহী ট্রেনে গম আসতে শুরু করেছে। বেনাপোল স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত রেল পথে প্রায় ৪২ টন গম বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় রোববার রাতেই এসব গমের ছাড়পত্র বেনাপোল থেকে নিয়ে গেছেন আমদানিকারকরা। গম আমদানিকারকরা প্রতি মেট্রিক টন গম ৩২৫ ইউএস ডলার মূল্য দিয়ে ভারত থেকে ক্রয় করছে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি টন গমের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫৯৫ টাকা। আমদানিকৃত প্রতি কেজি গমের মূল্য ২৯ টাকা ৫৯ পয়সা।
আমদানিকারকরা বলছেন, আমদানিকৃত এই গম তাদের পূর্বে পাঠানো এলসির বিপরীতে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা তাদের সরবরাহ করেছেন। ফলে নতুন করে রপ্তানিকারকরা কোনো এলসি নিচ্ছে না।
গম আমদানিকারকদের প্রতিনিধি নয়ন হোসেন জানান, দুই মাস আগে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত গম রপ্তানি করেছিল। শর্ত ছিল তারা পূর্বের এলসির গম রপ্তানি করবে। তবে নানা জটিলতায় গত দুই মাস গম আমদানি হয়নি।
যশোরের বারান্দিপাড়ার মরসালিনুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, এখনো প্রতি কেজি ৪০ টাকা করে গম কিনতে হচ্ছে। গমের দাম আর একটু কমলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
গম ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, শীর্ষ গম রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে বেড়েছে গমের দাম। তবে দেশে পুনরায় গম আমদানি শুরু হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। খুব শিগগিরই গমের দাম কমতে শুরু করবে।
বেনাপোল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, গতকাল রোববার থেকে রেল পথে গম আমদানি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ টন গম দেশে প্রবেশ করেছে। আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আবদুল জলিল প্রতিবেদককে বলেন, শুল্কমুক্ত সুবিধায় গম আমদানি হচ্ছে। ছাড়করণে সব ধরনের সহযোগিতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমদানিকৃত গমের চালান খাওয়ার উপযোগী হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।