খুলনার দিঘলিয়ায় কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে শরীফ হোসেন (২৩) নামে এক যুবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুপিয়ে জখমের মামলা দায়েরের তিন মাস পর আসামিকে দিঘলিয়া থানা পুলিশ আটক করে। গ্রেপ্তারকৃত যুবক ঘটনার সংগে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দিঘলিয়া থানা রিপন কুমার সরকার খুলনা গেজেটকে বলেন, গত বছর ১৪ নভেম্বর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ব্রক্ষগাতী গ্রামের শেখ হায়দার আলী (৬০) কে। হায়দার আলী দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবু বক্কার এর ছেলে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে জখম করে।
মারাত্মক আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শরীরে ৬৮ টি সেলাই লাগে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণের কারণে তার শরীরে ঐ সময় ২৮ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। দীর্ঘ দেড় মাস খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরলেও সম্প্রতি তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হলে আবারও তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার একদিন পর আহত হায়দার শেখের ছেলে তানভীর শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে দিঘলিয়া থানায় ১টি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৩। তাং ১৬/১১/২০২১।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিঘলিয়া থানার এস আই (উপ-পরিদর্শক) সঞ্জিত সাহা দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার তিন মাস পর ঘটনার সংগে জড়িত থাকার অভিযোগে শরীফ হোসেন (২৩) নামে এক যুবককে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে। শরীফের বাড়ি দিঘলিয়া গ্রামে। গ্রেপ্তারকৃত শরীফকে আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা গেজেটকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শরীফ বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। পরে আদালত শরীফকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই