খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনা, বরিশালে আজ বৃষ্টি হতে পারে

দিঘলিয়া সফরের পুরোটা সময় খুবই প্রানবন্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী

একরামুল হোসেন লিপু

ঘড়ির  কাঁটায় তখন বিকেল ৪টা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীরমধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌঁছালেন মায়ের স্মৃতি বিজড়িত স্থান দিঘলিয়ার নগরঘাট ফেরিঘাট সংলগগ্ন ভৈরব নদীর তীরে। ৪০ মিনিট অবস্থানের পর এখান থেকে তিনি বের হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেন।

দিঘলিয়ায় সফরকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই বাগেরহাট -১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলসহ তার স্ত্রীর এবং পুত্র, শেখ হেলালের পুত্র ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র শেখ সারহান নাসের তন্ময, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা -৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, দিঘলিয়ার সেনহাটীর কৃতিসন্তান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার শীলাসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

ভৈরব নদীর তীরে প্রধানমন্ত্রীর ৪০ মিনিটের এ সফর ছিল খুবই প্রানবন্ত। মায়ের স্মৃতিবিজড়িত স্থান ঘুরে দেখার সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা দিঘলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল খুলনা গেজেটকে বলেন, আমি জীবনে প্রধানমন্ত্রীকে অনেকবার দেখেছি, কিন্তু এত খুশি কখনো দেখেনি। এতো আনন্দের সাথে তারা দুইবোন কথাবার্তা বললো। পারিবারিক সফর যাকে বলে ঠিক তাই। ভৈরব নদীর তীরে গোডাউনের সামনে দাঁড়িয়ে দুইবোন গল্পগুজব শেষে শেখ রেহানাকে প্রধানমন্ত্রী বললেন,  চলো তোমার সম্পত্তির মধ্যে যাই। এসময় তিনি বলেন, সম্পত্তির মালিক আমি নয় রেহেনা।

মায়ের সম্পত্তির উপর নির্মিত গোডাউনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত তারা দুই বোন ঘুরে দেখেন। উপস্থিত অনেকের সঙ্গে ছবি তুলেছেন।

মোঃ হায়দার আলী মোড়ল আরো বলেন, এ সময় উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর মায়ের সম্পত্তির উপর নির্মিত গোডাউন ভাড়া নেওয়া জুট টেক্সটাইলের মালিক মোঃ রবিউল ইসলাম সিকো এ অঞ্চলে পাটের ব্যবসায় কি কি অসুবিধা, এখানে পাটের রমরমা ব্যবসা ছিলো, সেগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে , এখন এ দ্বীপাঞ্চলের কি কি ইন্ডাস্ট্রি আছে, এসকল বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিঘলিয়ার নগর ঘাট ভৈরব নদীর তীর ঘেঁষে চন্দনীমহল স্টার জুট মিল পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণের দাবী জানান। এ সময় তিনি আরো বলেন, রাস্তা যদি করে না দেওয়া হয় তাহলে এই এলাকার শিল্পগুলো অকেজো হয়ে যাবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাস্তা নির্মাণের দাবী একযোগে করলে তিনি রাস্তা করে দিতে সম্মত হন। এছাড়া এলাকার উন্নয়নের জন্য ব্যাপারেও তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!