খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ড. শেখ আব্দুল রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
  ছয় মামলায় সাবের হোসেনের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
  বাংলাদেশী ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরকান আর্মি

দিঘলিয়ায় হামলার ঘটনায় ১২৭ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ২

দিঘলিয়া প্রতিনিধি

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের লাখোয়াটী গ্রামের সোহেল এবং তার অপর দুই সহোদরের বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার ২২ দিন পর দিঘলিয়া থানায় বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ১। মামলায় মোট আসামী করা হয়েছে ১২৭ জনকে। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামী ৬৭ জন। আর অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জনকে।

পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।  ৩ ফেব্রুয়ারী ভোরবেলা লাখোহাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ২ সহোদর রসুল (৩৫) এবং রুবেল (৩৮) পিতা মৃত শাহাজানকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের জোড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে খুলনা গেজেটকে বলেন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দিঘলিয়া থানা রিপন কুমার সরকার।

প্রতিপক্ষের ভয়ে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে এলাকার বাইরে পালিয়ে থাকা সোহেল বারাকপুরের লাখোয়াটী গ্রামের সোহেল ১১ জানুয়ারী কামারগাতী পুলিশ ক্যাম্পের সহায়তায় নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সংবাদ প্রতিপক্ষ একই গ্রামের চার বাড়ির আনছার শেখের লোকজন জানতে পারে। প্রায় ১০০ থেকে দেড়’শ লোকজন জড়ো হয়ে তাঁরা সোহেল এবং তার অপর দুই ভাইয়ের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ চালায়। এ সময় হামলাকারীরা বাড়ির মহিলাদের লাঞ্চিত করে। ঘর থেকে রান্না করা হাড়ি-পাতিল পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয়। এমনকি গোয়ালঘরে ঢুকে গরুকে পর্যন্ত মারধর করে। ঘটনার সময় উপস্থিত কামারগাতী ক্যাম্পের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে দিঘলিয়া থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধুরী এবং ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা আরও জানায়, সোহেল এবং তার অপর দুই ভাই বর্তমান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের সমর্থক। লাখোয়াটী গ্রামের শেখ আনছার আলী এবং বারাকপুরের গাজী জাকির হোসেনের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। তাদের দু’জনের বিরোধের কারণে ইউনিয়নে তাদের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দু’ পক্ষের সমর্থকদের বিরুদ্ধ থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। এলাকা ছাড়া হয়েছে অনেকে।

থানায় মামলা দায়ের এবং আসামী গ্রেপ্তারের ঘটনায় ফের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারো হামলার আশঙ্কায় সোহেল এবং তার অপর দুই ভাই এবং তাদের পরিবার আতঙ্কে রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!