খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় তৃতীয় ধাপে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও থানার একজন এসআইসহ এ পর্যন্ত (২৩ জানুয়ারী) উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ জন। জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে মাস্ক বিহীন অবস্থায় অধিকাংশ মানুষ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন জনসাধারণকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে এবং মাস্ক পড়তে বাধ্য করতে উপজেলাধীন বিভিন্ন হাট-বাজার এবং জনসমাগম এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে অধ্যবধি অত্র উপজেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ৭’শ ৬ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯ জন। গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কার্যক্রমে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর ১ম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৮৫ হাজার জন। ২য় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৬৭ হাজার জন। চলতি বছর ১ জানুয়ারী থেকে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সী বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকাদান প্রক্রিয়ায় ২১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮ হাজার ৯৮২ জন শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে এ উপজেলায় এখনও শতকরা ৫৫ ভাগ জনগণ টিকাদান কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। গত বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া র্যাপিড টেষ্টে এ উপজেলায় মোট ৫৯০ জনের এন্টিজেন বা র্যাপিড টেষ্ট করা করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুবুল আলম খুলনা গেজেটকে বলেন, নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জন পজিটিভ হওয়া সবাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোণা পজিটিভ কেউ ভর্তি নেই। কমপক্ষে ১০ দিন সবাইকে হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। তিনি এলাকার জনসাধারণকে সরকারি নির্দেশনা মেনে মাক্স পরিধান করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার আহ্বান জানান।