খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ভৌগলিক দিক থেকে ৩ টি ব-দ্বীপে বিভক্ত এই এলাকার চাষীদের ভাগ্য উন্নয়নে নদী-খাল খনন সহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে।
প্রচন্ড খরায় নদী খালে পানি শুকিয়ে যাওয়া সহ নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যে প্রতি মৌসুমে ফসল উৎপাদন করতে হয় এলাকার কৃষকদের। জানাযায়, সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা না থাকায় দেরিতে লাগানো ৩০ শতাংশ তরমুজ চাষীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। এছাড়া এলাকায় জলাধার না থাকায় অনেক কৃষক তাদের চাষ করা জমিতে ঠিক মতো পানি দিতে পারেনি।
এদিকে, এলাকার বড় বড় খাল গুলো বিশেষ করে বাজুয়া ইউনিয়নের কোচারখাল, চুনকুড়ি উত্তরপাড়ার দোয়ানীয়া ও তলতলা খাল, চড়া নদী, বানিশান্তা ইউনিয়নের আমতলার খাল, ভোজনখালি খাল, লাউডোব ইউনিয়নের কালিকাবাটি খাল, কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের কালীর খাল, দাকোপ ইউনিয়নের দাকুপী খাল সহ অসংখ্য নদী খাল ভরাট হয়ে গেছে।
কৃষকেরা জানান, শুকিয়ে যাওয়া খালের ওপর দিয়ে মানুষ যাতায়াত করছে। অবিলম্বে খাল খনন না করলে আগামীতে চাষীরা ফসল ফলাতে পারবে না। তাই অবিলম্বে খাল খনন, পরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থা, বাজুয়া এলাকায় তরমুজ প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপন, তিন পোল্ডারে তিনটি হিমাগার নির্মাণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ, ভর্তুকি মূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, তরমুজ মৌসুমে এক মাসের জন্য পোদ্দারগঞ্জ ও পানখলি ঘাটে দুটি অতিরিক্ত ফেরির ব্যবস্থা করা, পোদ্দারগঞ্জ, পানখালি এবং বরনপাড়া ঘাট প্রশস্ত করা সহ ব্রীজ নির্মান করা সময়ের দাবি হয়ে দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃমেহেদী হাসান খান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে খাল খননের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি।
দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান এর সাথে কথাহলে তিনি বলেন, তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন মৎস্য দপ্তর ও কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নে এল, জি ডি অফিসের মাধ্যমে কাজ চলমান রয়েছে। শুকিয়ে যাওয়া নদী-খাল পুনঃখনন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই