জোয়ারে পানির চাপ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দাকোপে বাঁধ ভেঙে ফের প্লাবিত হয়েছে তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন। সংশ্লিষ্ট বিভাগ পাউবোর উদাসীনতায় উপজেলা প্রশাসন বাঁধ রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও ত্রাণের চাল বিতরণ করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সরাসরি আঘাত হানেনি। কিন্তু তার প্রভাবে উপচে পড়া জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় দাকোপের জনপদ। প্রতিনিয়ত ভেঙে যাচ্ছে নতুন নতুন বেড়ীবাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড অনেকটাই নির্বিকার। অথচ নাকাল অবস্থা দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের। বাঁধ সংস্কার বা পুন:নির্মানে নেই কোন বরাদ্দ।
বৃহস্পতিবার দুপুরের জোয়ারে উপজেলার ঝালবুনিয়া পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় পৃথক ৬ টি স্থানে আনুমানিক ১৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে ফের পানি ঢুকছে এলাকায়। এর আগে প্রশাসনের তথ্য মতে উপজেলার সুতারখালী, তিলডাঙ্গা, বানীশান্তা, পানখালীসহ অন্যান্য ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় বাঁধের বাইরে বসবাসকারী ৩ হাজার পরিবার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। আনুমানিক ১ হাজার ঘরবাড়ী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের বানীশান্তা, লাউডোব, বাজুয়া, কৈলাশগঞ্জ ও দাকোপ ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা বানীশান্তা যৌন পল্লীর অধিবাসীসহ ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জ্বলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ করেন।
খুলনা গেজেট/কেএম