যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৯ কারাগারে আটককৃত বন্দিদের ৪০ শতাংশই মাদক মামলার আসামি। ১০ জেলায় ৪৮ হাজারেরও বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। টাস্ক ফোর্সের খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভায় বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পিত্তিতে সকল বিভাগের সমন্বয়ে ওয়ার্কিং প্লান করার জন্য জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সর্বত্র হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। ফেন্সিডিল ও ইয়াবার পাশাপাশি টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনের কদর বেড়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা যশোরে মাদক সেবন ও ব্যবসার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে। মাদক নির্মূলের জন্য বিভাগে ২শ’ ২০ টি মোবাইল কোর্ট গত মাসে পরিচালিত হয়।
জুলাই মাসে চোরাচালান প্রতিরোধ আঞ্চলিক টাস্ক ফোর্স এর সভায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু গেল মাসের উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে ৩৭১ বোতল ফেন্সিডিল, ২৭ কেজি গাজা, ১০ টি গাজা গাছ, ৩ হাজার ৪০ টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ৩শ’ ৮৮ টি টাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ৪ গ্রাম হিরোইন, ৬ লিটার বিদেশী মদ, ১১ লিটার চোলাই মদ, ৬৬৫ এ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন, ১৫ লিটার তাড়ি, ১৪ লিটার আর এস এবং ৫ লিটার ডিনেচার্ট স্পিরিট গত মাসে ৩ কোটি ৮০ লাখ, ৭ শ’ ৮০ টাকার চোরাচালানি পণ্য উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্তি পরিচালক টাস্কর্ফোস এর সভায় মাগুরা জেলা থেকে ১ হাজার ১শ’ ৬৬ টি গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এটি জুলাই মাসের সবচেয়ে বড় অভিযান।
খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ১৩ জুলাই এর সভায় পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইকবাল মন্টু বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে টাস্ক ফোর্স এর অভিযান দৃশ্যমান হচ্ছে না। ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন সভায় উল্লেখ করেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য মাদক অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। কতিপয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের যোগসাজসে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন মাদকের বিকিকিনি হচ্ছে। বিভাগীয় টাস্ক ফোর্সের সভায় উল্লেখ করা হয়। জুলাই মাসে দক্ষিণাঞ্চলে মাদক মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।