নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী বুচিতলায় কুয়েত প্রবাসীর বাড়িতে প্রকাশ্য দিবালোকে চুরি সংগঠিত হয়েছে। চোরের দল এ সময় উক্ত প্রবাসীর বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরের ভীতর প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ঈদের নতুন কাপড়-চোপড়, অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায, শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা আনুমানিক ১১ টা থেকে ১২ টার মধ্যে কুয়েত প্রবাসী রহিম ফরাজীর মা মঞ্জিলের বাসার গ্রীলের তালা ভেঙ্গে এ চুরি সংগঠিত হয়।
ঘটনার সময় রহিম ফরাজির স্ত্রী মিনু আক্তার বাড়ীর মেইন গেট এবং ঘরের প্রবেশদ্বারের গ্রীলে তালা দিয়ে তার মেয়েকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মায়ের বাড়ীতে বেড়াতে যান। বেলা আনুমানিক পৌনে ১২ দিকে রহিম ফরাজির মেয়ে বাড়ীর মেইন গেটের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় ঘরে প্রবেশদ্বারের গ্রীলের তালা ভাঙ্গা এবং পাশে একটি শাবল ফেলানো। এ সময় মিনুর মেয়ে ভয়ে ঘরে প্রবেশ না করে দৌঁড়ে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি জানায়। মিনু দ্রুত বাসায় এসে দেখতে পান তার দু’টি ঘরের আলমারি, ওয়ারড্রপ, ওয়াল শোকেচের তালা ভেঙ্গে সকল মালামাল তছনছ করা এবং ঘরের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
রহিম ফরাজীর স্ত্রী মিনু জানান, বাড়ীর ওয়াল টপকে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা চোর। চোরের দল দু’টি ঘরের সকল জিনিসপত্র তছনছ করে আলমেরী এবং ওয়ারড্রপের মধ্যে থাকা নগদ ২২ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমানো ৪ হাজার টাকা, স্বর্ণের দেড়ভরী ওজনের একজোড়া রুলি , ৫ আনার দুই জোড়া কানের দুল, ৬ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, ৫ আনা ওজনের একটি আংটি, ৮ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের বেচলেট ৯ টি নাকফুল, ৬ ভরী রুপা, ল্যাপটপ, ঈদে কেনাকাটা নতুন কাপড় চোপড় সহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল কবির বলেন, ঈদকে সামনে রেখে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংঘবদ্ধ চোর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে নজরদারীতে রাখছে । ঘুরাঘুরির এক পর্যায়ে বাসাবাড়ীর মানুষ যখন ঘরে তালা দিয়ে বাহিরে চলে যাচ্ছে সাথে সাথে বাসা ফাকা পেয়ে যে কোন উপারে ঢুকে পড়ছে বাসাতে এবং নির্বিগ্নে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি ঈদকে সামনে রেখে পুলিশী টহল আরো জোরদার করার আহবান জানিয়েছেন।
চুরির ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আড়ংঘাটা থানার এস আই লুৎফুল হায়দার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আড়ংঘাটা থানা সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে থানায় কেউ আসেনি।
খুলনা গেজেট/কেডি