তেরখাদায় এবার ১০৯ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপনে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। এ নিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে এমন ব্যস্ততা তাদের।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করছেন ভাস্কররা। উপজেলা সদরের তেরখাদা পশ্চিমপাড়া প্রয়াত রাজ্যেশ্বর রায়ের বাড়ি পূজামন্দির, তেরখাদা কেন্দ্রীয় পূজামন্দির, মাটিয়ারকুল সর্বজনীন পূজামন্দির, পাতলা সর্বজনীন পূজামন্দির সহ বিভিন্ন মাতৃপূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরি করছেন ভাস্কররা। উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অরবিন্দ প্রসাদ সাহা বলেন, দেবীকে বরণ করে নিতে আমাদের মন্ডপে প্রতিমা তৈরি ও সাজ সজ্জার কাজ চলছে। গত বারের চেয়ে এ বছর প্রতিমা তৈরিতে খরচ বেশি হচ্ছে এবং পূজামন্ডপের সংখ্যাও বেশি। উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক শংকর কুমার বালা বলেন, আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠি পূজার মাধ্যমে শুরু হবে শারদীয় দুর্গা পূজা, সপ্তমী, অষ্টমী ও বিজয় দশমীর মাধ্যমে তা সমাপ্তি হবে। তিনি আরও জানান, উপজেলায় গত বছর ১০৪ টি পূজামন্ডপে পূজা হয়েছি। এ বছর ১০৯ টি পূজামন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা শিল্পী শ্যমল কুমার পাল জানান, একটি প্রতিমা তৈরিতে ১৫-২০ দিন সময় লাগে। প্রতিদিন আনুমানিক ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন তারা। প্রকারভেদে প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে তারা মজুরি হিসেবে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন।
প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা জানান, প্রতিমা তৈরিতে বাঁশ, পেরেক ব্যবহার করে কাঠামো তৈরি করা হয়। তারপর কাঠামের সঙ্গে খড়, বিছালি, দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। পরে মাটি দিয়ে মূর্তি তৈরি করা হয়। এগুলো করতে ধীরে ধীরে শুকানোর পর গহনা ব্যবহার করা হয়। শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন রং দিয়ে প্রতিমার পরিপূর্ণতা দেওয়া হয়।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহুরুল আলম বলেন, শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে তেরখাদা পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং সকল মন্দির কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পদকের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা মন্ডপগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। তিন স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশের সঙ্গে আনসার ভিডিপি সদস্য ছাড়াও দুজন করে মহিলা আনসার নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পুলিশের ভ্রাম্যমান দল টহলে থাকবে।
খুলনা গেজেট/ শফিউল/ টি আই