খুলনার তেরখাদা উপজেলার ঔষধ ব্যবসায়ি ফিরোজ শেখ (৩৫) হত্যা মামলার রায় আগামী ১৮ মার্চ। আজ বুধবার (৩ মার্চ) বাদী ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রায় প্রচারের জন্য এ দিন ধার্য করেছেন।
রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইলিয়াজ খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা ফিরোজ শেখকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। রাস্ট্রপক্ষ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে সকল দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে, আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিবেন বলে তিনি মনে করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুন করা হয় ব্যবসায়ি ফিরোজ শেখকে। ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামের মোহাম্মাদ আলী শেখের ছেলে ফিরোজ শেখ ঔষধের দোকান বন্ধ করে ভ্যানে যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রমজান উপলক্ষে প্রত্যেকদিনের মত খাবার পানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নেয়ার জন্য কাটেঙ্গা মুসল্লী বাড়ির দক্ষিণ পাশে ভ্যান থামানোর সাথে সাথেই তার পূর্ব পরিচিত শত্রুরা অতর্কিত হামলা চালায়। তারা ফিরোজকে দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ভ্যান চালক ও নিহতের সহযোগী চিৎকার করলে এলাকাবাসি এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি তাকে নিয়ে তেরখাদা হাসপাতালে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার সংকটপন্ন অবস্থায় দেখে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ওই দিন রাত পৌনে তিনটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনার তিনদিন পর নিহতের ছোট ভাই হিরু শেখ ২৭ জন আসামির নামসহ আরও অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ৯।
প্রথম দিকে মামলাটির তদন্ত তেরখাদা থানা পুলিশ করলেও পরবর্তীতে খুলনা সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। দু’বছর ১১ মাস পরে সিআইডি পুলিশ পরির্দশক মিঠু রানী দাশ ১৩ জনের নামে আদালতে একটি চার্জশীট দাখিল করেন। চার্জশীট ভুক্ত এক আসামি পলাতক রয়েছে। আদালত যুক্তিতর্ক শেষে ১২ জন আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই