তেরখাদা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। উৎপাদন খরচ কম এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই এলাকায় প্রতি বছর সরিষার ফলন ভালো হচ্ছে। সরিষা চাষ করে খুশি কৃষকরা। এদিকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষকদের দাবি, বাজারে সরিষার দাম বৃদ্ধি পেলে আরও বেশি লাভবান হতো তারা। এখন মাঠ জুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। আমন ধান উৎপাদনের পরে এবং বোরো ধান চাষের শুরুতে জমিতে সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। দিনদিন এ উপজেলাতে বেড়েছে সরিষা চাষ। উচ্চ ফলনশীল বীজ, সময় কম লাগা, উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছে সরিষা চাষের প্রতি। কৃষকদের দাবি বাজারে সরিষার দাম তুলনামূলক কম থাকায় বেশি লাভবান হতে পারছেন না তারা।
শেখ মুস্তাফিজুর, জুয়েল মোল্লা, শাহিন আলমসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, গত কয়েক বছর ধরে সরিষা চাষ করে আসছেন তারা। অল্প সময়ে অধিক লাভ পাওয়ায় তারা সরিষা চাষ করছেন। এই বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন আশানুরূপ হয়েছে। কৃষি অফিস সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বাজারে যদি এবার সরিষার দাম ভালো থাকে তাহলে আরও বেশি লাভবান হওয়া যাবে। উচ্চ ফলনশীল সরিষার নতুন নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবনের ফলে এ এলাকায় কৃষকদের মাঝে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে সরিষা চাষের জন্য।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শিউলি মজুমদার বলেন, রোপণের পর থেকে কৃষকদের সবসময় প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। যে কারণে এবার ফলন ভালো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে তেরখাদায় ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমন ধান ঘরে তোলার পর কৃষকরা জমিতে সরিষা চাষ করছে। সরিষার ফলন শেষ হওয়ার পর ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হচ্ছে। এতে আমন আর বোরো মধ্যবর্তী সময়ে সরিষা চাষ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছে, অন্যদিকে জমির উর্বরতা বাড়ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম