খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

তেরখাদায় নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

তেরখাদা প্রতিনিধি

তেরখাদা উপজেলার হাট-বাজারে সবজি সহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। সরবরাহ কম হওয়ায় এ দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার টাস্কফোর্স গঠন করলেও ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করছেন না।

উপজেলা সদরের কাটেংগা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, পেঁপে ৩০, লাউ পিস ৮০, পটোল প্রতি কেজি ৮০, বাঁধাকপি ৮০, বেগুন ১২০, মুলা ৮০, শসা ৭০, গাজর ১৮০, তিতা করল্লা ৯০, কাঁকরোল ১২০, বরবটি ১২০, আলু ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া ছোট লাল শাক ৩০, ঘি-কাঞ্চন ৩০ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ১৩০, রসুন ২২০, আদা ২০০, মোটা মসুর ডাল ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম ১ হালি ৫৫ টাকা। মুরগি ব্রয়লার ১৯৫, দেশি ৪৫০, সোনালি ৩৪০ টাকা কেজি।

অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। এর মধ্যে গরুর মাংস ৭৫০, খাসি মাংস ১১০০ টাকা।

নিত্যপণ্যের এমন মূল্যের সঙ্গে কিছুতেই যেন পেরে উঠছেন না স্বল্প আয়ের মানুষ। আয়ের বড় অংশই নিত্যপণ্যের পেছনে ঢেলে মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে বাজারের লাগাম টানতে সরকার টাস্কফোর্স গঠন করলেও ক্রেতারা তার ফলাফলে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। সরকার বেঁধে দেওয়া পণ্যের যৌক্তিক মূল্য মানছেন না ব্যবসায়ীরাও। বেশির ভাগ দোকানেই পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকায় ক্রেতারা ঠকছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ কম। এ ছাড়া বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শাকসবজির দাম বেড়েছে। বাজারে নতুন সবজি না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

কাটেংগা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ‘দাম বাড়ায় বিক্রিও অনেক কমে গেছে। পরিমাণে কম নিচ্ছেন ক্রেতারা। বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শাকসবজির দাম বেড়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই শীতের নতুন সবজি আসবে বাজারে। তখন দাম কমে যাবে।

ডিম বিক্রেতা মলায় সাহা বলেন, ‘লাল ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১৬৫ টাকা। ১০০টি বিক্রি করছি ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। দাম বাড়ায় আগের মতো বিক্রি হচ্ছে না। মানুষ কম করে নিচ্ছেন।

বাজার করতে আসা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে সব পণ্যেরই দাম বেশি। নির্দিষ্ট আয়ের বড় অংশই চলে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের পেছনে। সস্তায় শাক-ডিম খাবার সুযোগও নেই।

এ বিষয়ে তেরখাদার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, যদি কোন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি করে তাহলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!